লেখাপড়ায় ভাল ছিলেন অমিতাভ বচ্চন। বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলেন তিনি। কিরোরিমল কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছিলেন ১৯৬২ সালে। নৈনিতালের শেরউড কলেজ থেকেও পড়েছেন। এলাহাবাদের বয়েজ় হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজই ছিল তাঁর স্কুল। অভিনয় কেরিয়ার শুরু করার আগে কলকাতায় চাকরি করতেন অমিতাভ বচ্চন। কী সেই অফিসের নাম? কত টাকা বেতনের চাকরি করতেন বলিউডের শেহনাহ? জানলে অবাক হয়ে যেতে পারেন।
কলকাতার সঙ্গে নিবিড় যোগ অমিতাভের। প্রথম উপার্জন এই শহরে। পরবর্তীকালে বাঙালি মেয়ে অভিনেত্রী জয়া বচ্চনকে বিয়ে হয়ে ওঠেন বাংলার জামাই। এই তিলোত্তমাকে নিয়ে চিরকালই আবেগপ্রবণ অমিতাভ। কলকাতার যে অফিসে চাকরি করতেন, সেই অফিসের নাম ব্ল্যাকার্স কোম্পানি। ১০০০ কোটি টাকার মালিক অমিতাভের কেরিয়ারের প্রথম চাকরি থেকে তিনি উপার্জন করতেন মাত্র ১,৬৪০ টাকা। প্রথম চাকরির কথা বলতে গেলে আজও আবেগে আসেন অ্যাংরি ইয়ং ম্যান। দশ ফুট চওড়া একটি ঘরে ৮জন কাজ করতেন সেই অফিসে। অমিতাভ ছিলেন তাঁদেরই একজন। অফিস শেষ হতেই বন্ধুদের ডেকে নিতেন বিগ বি। জনপ্রিয় এক রেস্তোরাঁর বাইরে দাঁড়িয়ে-দাঁড়িয়ে তাঁরা চিন্তা করতেন, কোনও না-কোনওদিন এত টাকা রোজগার করবেন, যে বাইরে নয়, রেস্তোরাঁর ভিতরে গিয়ে বসতে পারবেন। রেস্তোরাঁর বাইরে দায়িত্বে থাকা দ্বার রক্ষককে অনুরোধ করেও ভিতরে ঢুকতে পারেননি। ভাবতে পারছেন!
১৯৬৮ সালের ৩০ নভেম্বর ব্ল্যাকার্স কোম্পানিতে ইস্তফা জমা দিয়েছিলেন অমিতাভ। তারপর কলকাতাও ছেড়েছেন। মুম্বইয়ে চলে গিয়েছেন। হয়েছেন বিরাট বড় তারকা। কিন্তু কলকাতায় তাঁর সাধারণের মতো কাটানো দিনগুলো কিছুতেই ভুলতে পারেন না। শহরে এলে তাঁর পা মাটি ছাড়তেই চায় না। খুব মনে পড়ে পুরনো বন্ধুদের কথা। তাঁদের ডেকেও নেন অমিতাভ।
তাঁর এক সোশাল মিডিয়া পোস্টে অমিতাভ একবার লিখেছিলেন, “কলকাতায় আমার পুরনো বন্ধুদের অনেকেই হারিয়ে গিয়েছেন। কেউ-কেউ রয়ে গিয়েছেন। আর আমার কাছে রয়ে গিয়েছে তাঁদের ভালবাসা। আমি ভুলিনি কিছুই।”