ভেজা শাড়িতে স্পষ্ট হবে শরীরী ভাঁজ, টুইঙ্কেলকে ‘কু-প্রস্তাব’, তারপর…
Bollywood Gossip: টুইঙ্কেল বরাবরই স্পষ্ট কথা বলতে পছন্দ করেন। সেবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তিনি যেটুকু করবেন বলে জানিয়েছিলেন, সেইটুকুই শট দিয়েছিলেন। বাড়তি পরিচালকের কোনও চাহিদা পূরণ করেননি তিনি।
চিত্রনাট্য পড়া আর শুটিং সেটে পৌঁছে বাস্তবে অভিনেতাদের যা করতে হয় তার মধ্যে ফারাক থাকে বিস্তর। শুটিং সেটে একের পর এক চাহিদা বাড়তেই থাকে পরিচালকদের। অভিনেতাদের প্রাথমিক লক্ষ্য থাকে, ঠিক সেই মতো কাজ করে যাওয়া। তবে সব ক্ষেত্রে কি পরিচালকের দাবি মেনে চলা সম্ভবপর হয়? হয়তো নয়। তার জেরেই কখনও পোশাক বিতর্ক, কখনও আবার ঘনিষ্ঠ দৃশ্য বিতর্কে সেট ছেড়ে বেরিয়ে যান অনেকেই। টুইঙ্কেল খান্নার ক্ষেত্রেও একবার তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। যেখানে শুটিং সেটে তাঁকে বৃষ্টিতে ভিজে একটা দৃশ্য করতে হতো। সবটাই ছিল তাঁর জানা। কিন্তু বাস্তবটা যায় পাল্টে। সেটে পৌঁছতেই অস্বস্তিতে পড়তে হয় তাঁকে।
তবে শেষ মুহূর্তে পরিচালক টুইঙ্কেলকে বলে বসেন, তিনি কি মন্দাকিনীর মতো একটা শট দিতে পারবেন? একমুহূর্ত সময় না নিয়ে তিনি জানিয়েছিলেন না, পারবেন না। কারণ তিনি রাজ কাপুর নন। এরপর পরিচালক আর একটা কথাও বলেননি। মুখ বুজে সেখান থেকে চলে গিয়েছিলেন। বৃষ্টিতে ভিজে শটটা দিয়েছিলেন টুইঙ্কেল, ব্যবহার করা হয়েছিল গ্রাফিক্সও। টুইঙ্কেল বরাবরই স্পষ্ট কথা বলতে পছন্দ করেন। সেবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তিনি যেটুকু করবেন বলে জানিয়েছিলেন, সেইটুকুই শট দিয়েছিলেন। বাড়তি পরিচালকের কোনও চাহিদা পূরণ করেননি তিনি।
পর্দায় কে কতটা সাহসী, তা নির্ভর করে একজন সেলিব্রিটি নিজেকে কতটা ভাঙতে রাজি তার ওপর। কে কোথায় গিয়ে সীমানা টানবেন, তার ওপর। নব্বই দশকের প্রথম শ্রেণির সেলেবরা অনেকাংশেই নিজের চরিত্র নিয়ে ছিলেন সচেতন। বিশেষ করে বোল্ড দৃশ্যে কতটা ভাঙবেন, সে সিদ্ধান্তে অনেকটা সময়ই পরিচালককে এক পা পিছিয়ে যেতে হত। এক্ষেত্রেও তেমনটাই ঘটে।