মাঝরাতে শ্রেয়ার বাড়িতে পৌঁছালেন সৃজিত, কী কাণ্ড ঘটল?
'হেমলক সোসাইটি' ছবিতে একটি নীল গাড়িতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আর কোয়েল মল্লিককে দেখা গিয়েছে। সেই গাড়িটা শ্রেয়ার থেকে নেওয়ার জন্য একদিন মাঝরাতে শ্রেয়ার বাড়িতে পৌঁছেছিলেন পরিচালক। নিজের নতুন ছবি নিয়ে এতটাই উত্তেজিত ছিলেন সৃজিত, কোন সময়ে শ্রেয়ার বাড়িতে যাচ্ছেন, সেটা মাথায় ছিল না।

১৩ বছর আগেকার ঘটনা। তখন শ্রেয়া পাণ্ডের কাছে একটা নীল বিএমডব্লিউ গাড়ি ছিল। শ্রেয়া পাণ্ডে সেই সময় থেকেই পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের বন্ধুত্ব। যখন সৃজিত ‘হেমলক সোসাইটি’ ছবি তৈরির পরিকল্পনা করেন, তখন পরিচালকের মনে হয়েছিল, আনন্দ কর চরিত্র ওই নীল রঙা গাড়ি ব্যবহার করে ভালো হয়। ছবিতে এই নীল গাড়িতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় আর কোয়েল মল্লিককে দেখা গিয়েছে। সেই গাড়িটা শ্রেয়ার থেকে নেওয়ার জন্য একদিন মাঝরাতে শ্রেয়ার বাড়িতে পৌঁছেছিলেন পরিচালক। নিজের নতুন ছবি নিয়ে এতটাই উত্তেজিত ছিলেন সৃজিত, কোন সময়ে শ্রেয়ার বাড়িতে যাচ্ছেন, সেটা মাথায় ছিল না। শ্রেয়া খোলসা করলেন, ‘তখন আমি ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাত্ সৃজিত চলে এসে বলল, গাড়ির চাবিটাও আমি নিয়ে নিয়েছি ড্রাইভারের কাছ থেকে। শুধু গাড়ির খুঁটিনাটিগুলো বুঝে নেব। ওঁর ছবির জন্য সেদিন আমাকে মাঝরাতে ঘুম থেকে উঠতে হয়েছিল!’
এবার সেই ছবির সিক্যোয়েল ‘কিলবিল সোসাইটি’ মুক্তি পাচ্ছে। ছবিতে আর কোয়েল মল্লিক নায়িকা নন। বরং আছেন কৌশানী মুখোপাধ্যায়। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের চরিত্রের নাম এবার মৃত্যুঞ্জয় কর। পরমব্রত-কৌশানীর একটা গান মুক্তি পেয়েছে। সেখানে একটা লাল অডি গাড়িতে দেখা যাচ্ছে দু’জনকে। এই ছবির ট্রেলার লঞ্চে উপস্থিত ছিলেন শ্রেয়া পাণ্ডে। সেখানেই গল্প করতে-করতে স্মৃতির পাতা থেকে শ্রেয়া তুলে আনলেন এই তথ্য। শ্রেয়া বললেন, ‘সৃজিতের সঙ্গে আমার বন্ধুত্বও এক দশকের বেশি সময় ধরে। আজকে মনে হচ্ছে, একই রকম রয়ে গিয়েছে এই বন্ধুত্ব। এক সময়ে অভিনয়ে মন দিয়েছিলেন শ্রেয়া। তবে এদিন জানালেন, আপাতত রাজনীতির কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চান।’





