প্রেম ছিল তাঁদের মধ্যে। তাঁরা অর্থাৎ শাম্মি কাপুর ও মুমতাজ়ের। এমনটাই শোনা যায় বলি অন্দরে কান পাতলেই। কিন্তু তাঁদের প্রেম বিয়েতে পরিণতি পায়নি। কেন না মুমতাজ় সেই সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছিলেন শেষ মুহূর্তে। কারণ হিসেবে উঠে এসেছিল কাপুর পরিবারের রক্ষণশীলতা। বিয়ের পর কাপুররা তাঁদের বউমাদের অভিনয় করতে অনুমতি দিতেন না। একবার মুমতাজ় জানিয়েছিলেন, কাপুর পরিবার তাঁদের বিয়ের পর আর তাঁকে কাজ করতে অনুমতি দিতে চাইছিল না। শাম্মিকে বেছে নিতে হবে কিংবা বেছে নিতে হবে তাঁর ফিল্মি কেরিয়ারকে – এই শর্ত দিয়েছিল কাপুর পরিবার। এক সাক্ষাৎকারে মুমতাজ় বলেছিলেন, “আমি আমার কেরিয়ারকে বেছে নিয়েছিলাম সেই সময়। আমি অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। কেরিয়ারে কিছু করতে চেয়েছিলাম। কাপুর পরিবার খুবই রক্ষণশীল। তাঁরা তাঁদের বউমাদের ব্যাপারে ভীষণই রক্ষণশীল মনোভাব পোষণ করেন। তাতে আমি রাজি ছিলাম না।”
কিন্তু শাম্মির বিষয়ে কোনওদিনও কুমন্তব্য করতে শোনা যায়নি মুমতাজ়কে। তিনি বলেছিলেন, “শাম্মি কাপুর খুবই ভাল মানুষ। তিনি আমার খুবই যত্ন নিতেন। আমাকে খুবই ভালবাসতেন। কেউ বিশ্বাস করত না আমরা একে-অপরকে ভালবাসতাম। কেউ বিশ্বাস করতেন না যে আমি তাঁকে ‘না’ বলে দিয়েছিলাম। অনেকের কাছে বিষয়টা এরকম ছিল, ‘আমি কীভাবে শাম্মিকে না বলতে পারি!’”
শাম্মির সঙ্গে মুমতাজ়ের যখন সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল মুমতাজ়ের বয়স ছিল ১৭। শাম্মি ছিলেন বয়সে ১৮ বছরের বড়। অত কম বয়সে মুমতাজ়ের পক্ষে শাম্মিকে বিয়ে করা সম্ভবও ছিল না। অত কম বয়সে বিয়ে করে কেরিয়ার শেষ করতে নারাজ ছিলেন মুমতাজ়।
কিন্তু দিন পাল্টেছে। কাপুর পরিবারের বিয়ে করেছেন আলিয়া ভাট। বিয়ে করেছেন রণবীর কাপুরকে। তিনি দিব্যি কাজ করছেন।