Sweat Benefits: যত বেশি ঘাম হবে শরীর থাকবে রোগমুক্ত, বিশ্বাস হচ্ছে না?

megha |

May 11, 2024 | 2:35 PM

Health Benefits: কারও কারও একটু বেশিই ঘাম হয়। আবার যখন গরম বাড়বে ঘেমে-নেয়ে একশা অবস্থা হবে। এছাড়া ব্যায়াম করলে ঘাম হয়। এমনকি জ্বর সারলে শরীর দর দর করে ঘামতে থাকে। ঘাম সবার কাছেই বিরক্তিকর। কিন্তু এই ঘাম আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে।

Sweat Benefits: যত বেশি ঘাম হবে শরীর থাকবে রোগমুক্ত, বিশ্বাস হচ্ছে না?

Follow Us

দু’দিন বৃষ্টি হয়ে ভ্যাপসা গরম থেকে নিস্তার মিলেছে। কিন্তু ভিড় বাসে-ট্রামে ঘামকে আটকানো যাচ্ছে না। গরমে ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। আবার কারও কারও একটু বেশিই ঘাম হয়। আবার যখন গরম বাড়বে ঘেমে-নেয়ে একশা অবস্থা হবে। এছাড়া ব্যায়াম করলে ঘাম হয়। এমনকি জ্বর সারলে শরীর দর দর করে ঘামতে থাকে। ঘাম সবার কাছেই বিরক্তিকর। কিন্তু এই ঘাম আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হতে পারে। অনেকেই হয়তো জানেন না, ঘাম হওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্যই ভাল। ঘাম হলে কী-কী উপকার পাওয়া যায়, জেনে নিন।

১) গরমে ঘাম হলে এটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। ঘাম ত্বকে থাকা ঘর্মগ্রন্থি থেকে নির্গত হয়। এটি গরমে দেহে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া দরকার।

২) অত্যধিক ঘাম আপনার দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এটি ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল করে তোলে। রক্ত সঞ্চালনের জেরে ত্বকের কোষগুলো অক্সিজেন ও পুষ্টি পায়। ত্বকের জেল্লা ফুটে ওঠে।

৩) ব্যায়াম করার সময় অত্যধিক ঘাম হয়। এই ঘাম আপনার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। যত বেশি ব্যায়াম করবেন, ঘাম হবে। আর ততই হৃদরোগের হাত থেকে সুরক্ষিত থাকবেন।

৪) ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বেরিয়ে যায়। ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে অতিরিক্ত নুন, কোলেস্টেরল ও অ্যালকোহল বেরিয়ে যায়। এতে শরীর সুস্থ থাকে।

৫) ঘাম ত্বককে পরিষ্কার রাখতেও সাহায্য করে। ঘাম ত্বক থেকে দূষণ দূর করে দেয়। রোমকূপকে পরিষ্কার রাখে এবং ব্রণ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়াকে দূর করে। এতে ত্বকের একাধিক সমস্যা কমে যায়।

৬) অত্যধিক ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে নুন বেরিয়ে যায় এবং ক্যালশিয়ামের মাত্রা বজায় রাখে। অত্যধিক নুন ও ক্যালশিয়াম কিডনিতে পাথর গঠন করে। তাই ঘামের মাধ্যমে এই দুই পদার্থের ভারসাম্য যখন বজায় থাকে, তখন কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও কমে যায়।

৭) ঘাম ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করে। ঘামের মধ্যে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল ও অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। এগুলো শরীরকে রোগের হাত থেকে দূরে রাখে।

Next Article