কোভিড ১৯ (Covid 19) গোটা বিশ্বকে একটা ভাল জিনিস শিখিয়ে গিয়েছে। তা হল পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা। লকডাউনে (Lockdown) ঘন-ঘন হাত ধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার, বাইরে থেরে ফিরে জামাকাপড় পরিবর্তন করার মতো হাজার ভাল অভ্যাস আয়ত্ত করেছে বিশ্ববাসী। তবে জানেন কি এসব করেও, নিজের অজান্তেই আপনি কয়েক হাজার জীবাণু বহন করছেন।
কী করে তাই ভাবছেন তো? আমার আপনার আশেপাশে এরকম অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা টয়লেট সিটে বসে ফোন ঘাঁটেন। কর্মব্যস্ত জীবনে ওই কয়েকমিনিট সময়ও নষ্ট করতে নারাজ তাঁরা। তাই সকালে বাথরুমে বসেই খবর পড়া, অফিসের মেইল চেক বা অন্যান্য কাজ করে থাকেন। আর এতেই বাড়ছে বিপদ।
সম্প্রতি নর্ড ভিপিএন-এর গবেষণা অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতি ১০ জন মানুষের মধ্যে ৬ জনই টয়লেট সিটে বসে ফোন ঘাঁটেন। এই গবেষণায় উঠে এসেছে আরও কিছু তথ্য। এদের মধ্যে ৬১.৬ শতাংশ সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সময়টা ব্যায় করেন। ৩৩.০৯ শতাংশ সমসাময়িক ঘটনা সম্পর্কে পড়াশোনা করেন, বাকি ২৪.০৫ শতাংশ নয় মেসেজ করেন বা তাঁদের ভালবাসার মানুষদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই অভ্যাস মানুষের জীবনে মহা বিপদ ডেকে আনছে। কারণ টয়লেট সিটে Staphylococcus aureus, প্যাথোজেনসের মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বসবাস করে। যা মুখ, নাকের মাধ্যমে শরীরে ভিতরে প্রবেশ করে মারাত্মক ক্ষতি ঘটায়। যখন মানুষজন টয়লেট সিটে বসে ফোন ঘাঁটার নেশায় বুঁদ হয়ে থাকেন, তখন ওই ব্যাকটেরিয়া ফোনের স্ক্রিনের মধ্যে বাসা বাঁধে। এরপর ফোনের স্ক্রিন স্পর্শ করলে তা হাত,চোখ, মুখ ও নাকের মাধ্যমে সরাসরি শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে। এই ধরনের ব্যাকটেরিয়া ইউটিআই সংক্রমণ, তলপেটে ব্যথা, ডাইরিয়া, ত্বকের সংক্রমণের মতো হাজার অসুখের ঝুঁকি বাড়ায়।
গবেষণা অনুসারে, এই ধরনের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া মোবাইলের স্ক্রিনের মধ্যে ২৮ দিন পর্যন্ত থেকে যেতে পারে। শুধু তাই-ই নয়, জানলে অবাক হবেন, টয়লেট সিটের থেকে ১০ গুণ বেশি ব্যাকটেরিয়া বহন করে মোবাইল ফোন। তাই যদি সুস্থ, স্বাভাবিক জীবন চান তবে অবিলম্বে বাথরুমে ফোন ঘাঁটার অভ্যাস ত্যাগ করুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।