AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

সামান্য কানে ব্যথা হতে পারে বড় রোগের পূর্বাভাস! বুঝবেন কী ভাবে?

কানে ব্যথা বা Earache একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, সবসময় তা সাধারণ ঠান্ডা লাগার কারণে হয় না। অনেক সময় এটি শরীরের গভীরতর কোনও সমস্যার ইঙ্গিতও দিতে পারে। বিশেষ করে যদি কানের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়, সঙ্গে জ্বর, শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস, রক্ত বা পুঁজ বের হওয়া, মাথাব্যথা বা ঘাড়ে টান দেখা দেয়।

সামান্য কানে ব্যথা হতে পারে বড় রোগের পূর্বাভাস! বুঝবেন কী ভাবে?
| Edited By: | Updated on: Jun 30, 2025 | 9:22 PM
Share

কানে ব্যথা বা Earache একটি সাধারণ সমস্যা হলেও, সবসময় তা সাধারণ ঠান্ডা লাগার কারণে হয় না। অনেক সময় এটি শরীরের গভীরতর কোনও সমস্যার ইঙ্গিতও দিতে পারে। বিশেষ করে যদি কানের ব্যথা দীর্ঘস্থায়ী হয়, সঙ্গে জ্বর, শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস, রক্ত বা পুঁজ বের হওয়া, মাথাব্যথা বা ঘাড়ে টান দেখা দেয়—তাহলে বিষয়টিকে হালকাভাবে না নেওয়াই ভালো।

ঠান্ডা লাগার কারণে কানে ব্যথা: সাধারণ সর্দি, জ্বর বা ইনফ্লুয়েঞ্জা হলে নাক-মুখ-কানের সংযোগস্থলে প্রদাহ হয়। এতে ইউস্টেশিয়ান টিউব বন্ধ হয়ে কানে চাপ পড়ে ও ব্যথা হয়। এটি অনেক সময় নিজে থেকেই সেরে যায়, তবে যদি সাইনাস বা ঠান্ডা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে।

কিন্তু কানে ব্যথার অন্য বড় কারণও হতে পারে:

১. কান পাকা বা মধ্যকর্ণে সংক্রমণ (Otitis Media): শিশু ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে খুবই সাধারণ। এতে কানে তীব্র ব্যথা, পুঁজ, জ্বর ও শ্রবণ শক্তি কমে যাওয়া দেখা দিতে পারে। চিকিৎসা না করালে শ্রবণ স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।

২. কর্ণছিদ্র বা কানের পর্দা ফেটে যাওয়া: তীব্র শব্দ, কোনও আঘাত বা দীর্ঘস্থায়ী সংক্রমণ থেকে পর্দা ফেটে যেতে পারে। এতে হঠাৎ তীব্র ব্যথা ও রক্ত বা তরল বেরোতে পারে।

৩. ফাঙ্গাল ইনফেকশন (Otomycosis): নেমে আসে অস্বস্তি, চুলকানি ও কানে থকথকে সাদা বা কালচে পদার্থ। বর্ষাকালে বা ঘন ঘন জল ঢুকলে হয়।

৪. টনসিল বা দাঁতের সমস্যা: কখনও কখনও কানের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক নেই এমন সমস্যাও কানে ব্যথা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন: দাঁতে সংক্রমণ, গলায় টনসিল ফোলা বা জ্বর।

৫. অ্যাকোস্টিক নিউরোমা বা টিউমার: অত্যন্ত বিরল হলেও কানে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা ও শব্দ শোনা (ringing in the ears) এমন জটিল রোগের লক্ষণ হতে পারে।

কী করবেন?

১। গরম সেঁক ও পেইনকিলার সাময়িক স্বস্তি দিলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

২। কানে তেল বা জল ঢালবেন না।

৩। শিশুর কান ব্যথা হলে অবহেলা না করে ENT বিশেষজ্ঞকে দেখান।

৪। কান পরিষ্কারের সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন।

সাধারণ ঠান্ডা থেকে শুরু করে জটিল রোগ পর্যন্ত—কানে ব্যথার পেছনে কারণ অনেক। তাই বারবার বা তীব্র ব্যথা হলে তা চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া উপেক্ষা না করাই ভালো। আগেভাগে সচেতনতা আপনাকে বড় বিপদ থেকে বাঁচাতে পারে।