সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও সুনির্দিষ্ট জীবনধারাই হল সুস্বাস্থ্যের চাবিকাঠি। বিশেষত ডায়াবেটিস ( Diabetes) রোগীদেক অনিয়ন্ত্রিত রক্তে শর্করার মাত্রা কখনও কখনও বিপর্যট ঘটিয়ে ফেলতে পারে। ডায়াবেটিস এমনই একটি অসুখ, যা আপনার প্রায় সমস্ত অঙ্গকেই প্রভাবিত করে তোলে। অনেক সময় তা প্রাণহানির মত ঘটনা ঘটে থাকে। কিন্তু যে ভাবেই হোক রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রখা প্রত্যেক ডায়াবেটিস রোগীদের প্রধান কাজগুলির মধ্যে পড়ে। তাতে সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনযাপন করতে সহায়তা করে। পুষ্টিবিদদের মতে, গোটা দিনের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মিল হল ব্রেকফাস্ট। সকালের খাবারের উপরেই নির্ভর করে শরীর কতটা সুস্থ থাকবে। বিশেষত ডায়াবেটিস রোগীদের এই ধরনের ভুল কখনই করা উচিত নয়। খাবারের মাধ্যমেই শরীরে গ্লুকোজ পাওয়া যায় এবং রক্তে শর্করার মাত্রাও (Blood Sugar) নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অনেকেই হয়তো জানেন না, ডায়াবেটিসের ওষুধ ছাড়াও, আপনার জীবনযাত্রাকে স্বাভাবিক ও স্বাস্থ্যকর করে তোলা সম্ভব। শর্করার মাত্রা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতেও সহায়তা করে। কোনও রকম পরিশ্রম ও ওষুধ ছাড়াই যদি ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তার জন্য কয়েকটি টিপস ফলো করতে পারেন। তাড়াতাড়ি রাতের খাবার খাওয়া, সময়মত শুতে যাওয়া, এমন জিনিসগুলির মধ্যেও গ্ল্ুকোজের মাত্রাকে হাতের মুঠো রাখা সম্ভব। আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘরোয়া কিছু প্রতিকারের মাধ্যেমেই ব্লাড সুগার থাকবে নিয়ন্ত্রণে। মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে রক্তে শর্করার মাত্রা কীভাবে আনবেন, তার কয়েকটি জরুরি ও সহজ উপায়গুলি জেনে নিন…
আমলা, হলুদ, লাউ ও মোরিঙ্গার স্যুপ
আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন সকালে আমলা ও হলুদ খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা থাকে স্বাভাবিক। সপ্তাহে দুবার সকালের খাবারের লাউ ও মোরিঙ্গার স্যুপ খান। তাতে ১৫ দিন পরই আপনি নিজের শরীরের অবস্থার দিকটি টের পাবেন।টট
ডিপ ফ্রাই, চিনি কম খান। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনি, দই, ডিপ ফ্রাই, বাসি খাবার, সাদা ময়দা থেকে এড়িয়ে চলুন। খাবারে বেসন, রাগি, জোয়ারের আটা ব্যবহার করা শুরু করে দিন।
রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আনতে খাওয়ার পর বজ্রাসন করা অভ্যেস করুন।
পালক, মেথি, লাউকি, টমেটো, করলা, মুরিঙ্গা এবং জামুন, আপেল, আমলা, পেঁপে, ডালিম, পেঁপে এবং কিউই জাতীয় ফল বেশি করে খাওয়া পারে।
বিশেষজ্ঞদের কথায়, মন্ডুকাসন, শশাঙ্কাসন, ভুজঙ্গাসন, বালাসন এবং ধনুরাসন এর মতো যোগাসন অবশ্যই ডায়াবেটিস রোগীদের অনুশীলন করা উচিত যেখানে কপালভাতি এবং অনুলোমা-ভিলোমার মতো প্রাণায়ামগুলিও রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য উপকারী।
প্রতিদিন কমপক্ষে ৫ হাজার পা হাঁটা ভাল। তার মধ্যে ১০ হাজার পা হাঁটা হল সবচেয়ে ভাল।
আমলা-হলুদের মিশ্রণ: ১ চা চামচ আমলা এবং ১ চা চামচ হলুদ মিশিয়ে খাবারের এক ঘণ্টা আগে খান।
– রাতের খাবার হালকা রাখুন। যেমন বেসন, রাগি, ভেজিটেবিল স্যুপ, ভেজিস স্যুপ, মসুর ডাল খেতে পারেন।
-সকাল ৯টার আগে ২০ মিনিট সূর্যের আলোয় ঘোরাফেরা করুন।
– প্রতিদিন কমপক্ষে ৪৫মিনিট যোগব্যায়ামে ও প্রাণায়াম করতে পারেন।