নিয়মিত যোগাভ্যাস করা স্বাস্থ্যের পক্ষে সবসময়ই উপকারী। আজকাল বিভিন্ন ধরনের যোগাভ্যাস করে থাকেন অনেকেই। চিকিৎসকরাও বলে থাকেন, জিমের থেকেও বেশি কাজ দেয় রোজের যোগাভ্যাস। দিনে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট নিজের জন্য দিলে এবং যোগাসন অভ্যাস করলে শরীর থাকবে ঝরঝরে-সতেজ।
শরীরের পাশাপাশি মানসিক স্থিতিও আনে যোগাভ্যাস। দূর হয় মানসিক অবসাদ। মানসিক অস্থিরতা কমে মন শান্ত হয়। তবে এসব ক্ষেত্রে ভীষণ ভাবে কাজ দেয়, ‘লাফিং যোগা’। বহু প্রাচীন এই অভ্যাসের সাহায্যে দূর হয় অনেক সমস্যাই। আর হাসিখুশি থাকলে মন যে ভাল থাকে, একথা তো প্রায় সকলেরই জানা।
লাফিং যোগা বা লাফটার যোগাসনের উপকারিতা-
প্রাচীনকালে মূলত হিমালয়া অঞ্চলের এই যোগাসন অভ্যাস করা হত। তবে বর্তমানে এই যোগাসন সব জায়গাতেই জনপ্রিয়। পার্ক কিংবা কোনও খোলা মাঠে আজকাল দলবদ্ধ ভাবে এই ধরনের যোগাসন অভ্যাস করে থাকেন। সবাই মিলে গোল করে এক জায়গায় বসে হাসাহাসি করেন। বিষয়টা দেখতে হাস্যকর লাগলেও, এই যোগাভ্যাস যথেষ্ট উপকারি। আজকাল তো অনেক লাফিং ক্লাবও তৈরি হয়েছে। তবে হাসির সঙ্গে সঙ্গে কিন্তু চলে হাত-পা নাড়িয়ে বেশ কসরতও। শরীরচর্চার পাশাপাশিই ওঠে হাসির রোল।
এই লাফিং যোগা অভ্যাস করলে, মনমেজাজ হাল্কা থাকে। জীবনের জটিল সমস্যা সহজেই দূর হয়। জীবনদর্শনের প্রতি হাল্কা ভাবনাচিন্তা আসে। যেকোনও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হলেও অনায়াসের তার সামনে দাঁড়াতে পারবেন আপনি।
১। মূলত লাফিং যোগাসন অভ্যাস করলে আপনি হাসিখুশি থাকবেন। মনমেজাজ ভাল থাকবে। মানসিক অবসাদ দূর হবে।
২। শরীরের পাশাপাশি মন ভাল থাকায়, বিভিন্ন জিনিসের প্রতি আগ্রহী হবেন আপনি। বিভিন্ন বিষয়ে আগ্রহ বাড়লে জ্ঞান আহরণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ হবেন আপনি।
৩। মানসিক একাগ্রতা বাড়াতে বাড়াতে সাহায্য করে লাফটার যোগা। মানসিক অবসাদের পাশাপাশি দূর হয় স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি। ঘুমের সমস্যা থাকলে সেতাও দূর হয়, কারণ হাসিখুশি থাকলে আপনার মানসিক অস্থিরতা কমে।