TV9 বাংলা ডিজিটাল: স্তন ক্যানসার (Breast cancer)। সমীক্ষা বলছে, বর্তমানে ভারতে ২৮ জন মহিলার মধ্যে অন্তত একজন আক্রান্ত হচ্ছেন এই মারণ রোগে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞদের হিসেবে প্রতি বছর প্রায় ১৪ লক্ষ মহিলা নতুন করে স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন প্রায় ৪ লক্ষ ৫৮ হাজার জন। (Breast cancer prevention)
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই একেবারে লাস্ট স্টেজে গিয়ে রোগীর রোগ ধরা পড়ায় কিছুই আর করার থাকছে না চিকিৎসকের। অথচ একটু সচেতন হলেই এই ক্যানসার রুখে দিতে পারেন আপনিই। দরকার শুধু সঠিক সময়ে সঠিক পদক্ষেপ।
কেন হয়?
ব্রেস্ট ক্যানসার কেন হয় তা নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে নানা মতামত রয়েছে। কারও মতে ব্রেস্ট ক্যানসার খানিক হলেও বংশগত। বিএআরসি-১ ও বিএআরসি -২ নামে দুটি জিন মুলত স্তন ক্যানসারের জন্য দায়ী। এ ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি জিনিস যা এই ধরনের ক্যানসারের ক্ষেত্রে রিস্ক ফ্যাক্টর বলে মনে করছেন চিকিৎসকেরা সেগুলি হল,
⦁ অলস জীবন যাপন
⦁ ধূমপান এবং মদ্যপ্রাণের প্রবণতা
⦁ সন্তানকে ব্রেস্ট ফিড না করানো
⦁ মাত্রাতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়া
⦁ শরীরে আয়োডিনের অভাব
⦁ অপরিষ্কার অন্তর্বাস
⦁ পিরিয়ডের সময় অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় থাকা ইত্যাদি
কী ভাবে চিনবেন?
⦁ ব্রেস্টে লাম্প হলে এখনই ডাক্তার দেখান। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই লাম্পে ব্যথা থাকে না। তা বলে ফেলে রাখবেন না কিন্তু। স্তনে টিউমার মানেই যে তা ম্যালিগন্যান্ট এমনটা নয়। তবে কথায় বলে সাবধানের মার নেই।
⦁ কাঁধ এবং ঘাড়ের ব্যথাও ব্রেস্ট ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে কারণ এই ক্যানসার স্তন থেকে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে শরীরের এই অংশগুলিতে।
⦁ ব্রেস্ট ফিডিং করাচ্ছেন না অথচ স্তনবৃন্ত থেকে যদি দুধের মতো জলীয় পদার্থ নির্গত হয় তবে সাবধান। স্তনবৃন্ত যদি হঠাৎ করেই অনুভূতিহীন হয়ে পড়ে তবে সচেতন হন।
⦁ খেয়াল রাখুন আর্মপিটেরও। সেখানেও যদি ফোলাভাব দেখা যায় তবে ফেলে রাখবেন না।