২২ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে নবরাত্রির উপবাস। এই ন’দিন নয় রূপে মা দুর্গার পুজো করা হয়। শাস্ত্র মতে এই তিথিতে দুর্গার মন্ত্র জপ করলে এবং পুজো করলে অনেক সুফল পাওয়া যায়। আবার দুর্গার আরাধনা করলে একাধিক রাহুর অশুভ প্রভাব থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। অর্থ সংকট থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় যদি জপ করা হয় দুর্গার মন্ত্র। নবরাত্রির উপবাস অনেক করেন শরীরের ডিটক্সিফিকেশনের জন্য এই উপবাসের নিয়ম হল সারাদিন কিছু না খেয়ে থাকা। তবে জল, ফলের রস, চা, কফি এসব খাওয়া যাবে। আর দিনের শেষে মাত্র একবারই সলিড ফুড খাওয়া যাবে। এই উপবাসে যেমন মন শান্ত হয় তেমনই ওজনও কিন্তু কমে। তবে উপবাসের সময় মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়ম।
নবরাত্রির উপবাস রাখলে শরীর ভিতর থেকে সুস্থ হয়। অপ্রয়োজনীয় ক্যালোরি শরীর থেকে দূর হয়ে যায়। হজম ভাল হয়। গ্যাস অম্বলের সমস্যা হয় না। সেই সঙ্গে মেটাবলিজমও কিন্তু খুব ভাল হয়। আমরা অধিকাংশই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার খাই। যে কারণে আমাদের শরীরে সমস্যাও অনেক বেশি থাকে।
তাই নবরাত্রির উপবাস রাখলেও সারাদিনে প্রচুর পরিমাণ জল খেতে হবে। ফলের রস খেতে পারেন। মিল্ক শেক, চা এসব খেতেই পারেন। প্রয়োজনে বিস্কুট, কুকিজ খান। তবে সারাদিনের ভারী খাবার দিনের মধ্যে মাত্র একটা সময়েই খান। যখন খাবেন তাতে ভাজাভুজি কিছু রাখবেন না। উপবাসের পর তেলে ভাজা, আলু, মিষ্টি এসব এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল। কারণ এসব খেলে শরীর অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। ফল খান, ওটস, আটা দিয়ে চিল্লা বানিয়ে খেতে পারেন। ওটসের প্যানকেক বানিয়ে নিতে পারেন। এতে শরীর ফাইবার পাবে আর অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরাও থাকবে।
ব্রত মানেই অধিকাংশের ধারণা মিষ্টি খেতেই হবে। আর তাই নানা রকম পায়েস, ক্ষীর, হালুয়া এসব বানানো হয়েই থাকে। এবার উপবাসের পর মিষ্টি খেলেই শরীরের ক্ষতি হয়, শরীরে নানা রকম ক্ষত তৈরি হতে পারে। সেই সঙ্গে চড়চড়িয়ে বাড়তে পারে সুগারও। আর তাই ব্রচ উপবাসের পর স্মুদি, ফলের রস এসব খেতে পারেন। তবে ফলের রসে যেন চিনি মেশানো না থাকে সেদিকেও খেয়াল রাখুন।