Dengue: এক মাসের মধ্যে ডেং-২ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ শতাংশ, ২০১৯-কেও হারিয়ে দিতে পারে বর্তমান পরিস্থিতি

TV9 Bangla Digital

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Updated on: Oct 18, 2022 | 1:11 PM

Dengue D2 Variation: বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেং-২ ডেঙ্গির চারটি স্ট্রেনের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ। এই স্ট্রেন এই প্রাণঘাতীও হতে পারে।

Dengue: এক মাসের মধ্যে ডেং-২ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০ শতাংশ, ২০১৯-কেও হারিয়ে দিতে পারে বর্তমান পরিস্থিতি

রাজ্যের হাসপাতালগুলো বেড়ে চলেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। চিকিৎসকেরা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন যে, রাজ্যজুড়ে ডেঙ্গির যাবতীয় পুরনো রেকর্ড ভাঙতে চলেছে। বিশেষত ২০১৯ সালের ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যাকে টপকে যেতে আর বেশি বাকি নেই। কিন্তু উদ্বেগ বাড়াচ্ছে ডেং-২। রাজ্যজুড়ে এখন টাইপ ২-এর ঝড়। বস্তুত এটি ডেঙ্গির অন্যতম ভয়াবহ স্ট্রেন। চলতি বছরের শুরুতে ডেঙ্গি আক্রান্তদের শরীরে ডেং-৩-এর উপস্থিতি মিলছিল। এতে সংক্রমণের হারও দ্রুত বাড়ছিল। কিন্তু এই মরশুমে হঠাৎ করে ডেঙ্গি আক্রান্তের শরীরে খোঁজ মিলছে ডেং-২। আক্রান্তের সংখ্যা এবং পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ ধারণ করছে।

ডেঙ্গির মূলত চারটি স্ট্রেন। ডেং-১, ডেং-২, ডেং-৩, ডেং-৪। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হল ডেং-২ ও ডেং-৪। তুলনায় সবচেয়ে বেশি নিরীহ ডেং-১ এবং ডেং-৩। বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেং-২ ডেঙ্গির চারটি স্ট্রেনের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ভয়াবহ। চলতি বছরে প্রথম যখন ডেঙ্গির সংক্রমণ দেখা গিয়েছিল স্ট্রেন ছিল ডেং-৩। ডেং-৩ দ্রুত ছড়ায়। কিন্তু এই ডেঙ্গির এই প্রজাতি প্রাণঘাতী নয়। ডেং-৩-এ আক্রান্ত হলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে যায়। কিন্তু রোগীর শরীরে যদি ডেং-২ প্রবেশ করে তাহলে তা মারাত্মক। এই প্রাণঘাতীও হতে পারে। এখন ডেঙ্গি আক্রান্তের মধ্যে আচমকায় দেখা যাচ্ছে ডেং-২-এর উপস্থিতি।

সেপ্টেম্বর থেকে যে হারে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে তাতে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে প্রশাসন থেকে শুরু করে চিকিৎসামহলে। কিন্তু পুজোর মাসে আচমকায় হু-হু করে বাড়তে শুরু করেছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। তাই স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে ডেঙ্গির সেরোটাইপ পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন (এসটিএম) এবং নাইসেডে ডেঙ্গির সেরোটাইপ পরীক্ষা হয়। সেখানেই ডেং-২-এর উপস্থিতি মেলে।

এই খবরটিও পড়ুন

সেপ্টেম্বরের রিপোর্ট অনুযায়ী ডেং-৩ ছিল ৬০ শতাংশ। ডেং-১ এবং ডেং-৪ স্ট্রেন পাওয়া গিয়েছিল যথাক্রমে ৭ ও ৪ শতাংশের কাছাকাছি। সেই সময় রাজ্যে ডেং-২ সংক্রমণ প্রায় ২০ শতাংশের কাছাকাছি ছিল। অক্টোবরে বেশ কিছুটা হেরফের রয়েছে এই পরিসংখ্যার। এখনও পর্যন্ত ডেং-৩ রয়েছে ৫২ শতাংশ। ডেং-১ রয়েছে ৬ শতাংশ এবং ডেং-৪ রয়েছে ১ শতাংশের মতো। আর ডেং-২ বেড়ে হয়েছে ৪০ শতাংশ। অর্থাৎ এক মাসের মধ্যে ২০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে ডেং-২-এর সংক্রমণ।

বিগত পাঁচ বছরের মধ্যে ডেঙ্গির ‘আউটব্রেক বছর’ হিসাবে ২০১৯-কে ধরা হয়। ২০১৯ সালেও ডেং-২-এর কারণে বেড়েছিল ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞদের প্রথম থেকেই আশঙ্কা ছিল, যে হারে চলতি বছরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে ভেঙে যাবে ২০১৯-এর রেকর্ডও। বর্তমান পরিস্থিতিও সেই দিকেও এখনও ইঙ্গিত দিচ্ছে।

Latest News Updates

Follow us on

Related Stories

Most Read Stories

Click on your DTH Provider to Add TV9 Bangla