বর্ষা এসে গিয়েছে। আর এই বর্ষায় নানা রোগের উপদ্রপ হয়। বিশেষত, মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার প্রকোপ বাড়ে। ইদানিংকালে জিকা ভাইরাসের প্রকোপও বেড়েছে। সম্প্রতি পুনেতে জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত দুটি ঘটনার খবর এসেছে। জিকাও ডেঙ্গির মত মশার কামড়ে হয়। যদিও এর প্রকোপ ডেঙ্গির তুলনায় কম, তবে এটি একটি বিপজ্জনক রোগ।
বর্ষাকালে জিকা ভাইরাসের উপদ্রপ বেশি হয়। এমন পরিস্থিতিতে মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ডেঙ্গি এবং জিকা- উভয়ই ভাইরাসজনিত রোগ এবং মশার কামড়ের কারণে হয়। তবে দুই রোগের লক্ষণ এবং শরীরের ক্ষতির মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
ডেঙ্গি এবং জিকার মধ্যে পার্থক্য কি?
লেডি হার্ডিঞ্জ হাসপাতালের বিশেষজ্ঞের মতে, জিকা ভাইরাস এডিস অ্যালবোপিকটাস মশার কামড়ে ছড়ায়। এই রোগটি ছোঁয়াচে, অর্থাৎ এই রোগটি এক রোগী থেকে অন্য রোগীতে ছড়িয়ে পড়ে। যে কেউ জিকা সংক্রমিত হতে পারে। আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে এলে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ে। জিকা হল এক ধরনের আরএনএ ভাইরাস এবং এটি গর্ভবতী মায়ের থেকে তার শিশুর মধ্যে নাভির মাধ্যমে যেতে পারে। রক্তের মাধ্যমেও জিকা ভাইরাস একজন থেকে অন্য ব্যক্তিতে ছড়াতে পারে।
জিকা ভাইরাসের লক্ষণ
অল্প জ্বর, শরীরে ফুসকুড়ি, চোখে লালভাব, পেশি এবং জয়েন্টে ব্যথা, মাথাব্যথা
ডেঙ্গি
জিকা ভাইরাসের মতো ডেঙ্গিও হয় মশার কামড়ে। কিন্তু এটা একজনের থেকে আরেকজনের মধ্যে ছড়ায় না। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হলে কিছু রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট কমে যেতে পারে। এর ফলে মৃত্যু হতে পারে। বর্ষাকালে অনেক জায়গায় জল জমে থাকে বলে ডেঙ্গির ঝুঁকি বেড়ে যায়। ঠিকমতো চিকিৎসা হলে ডেঙ্গি এক সপ্তাহের মধ্যে সেরে যায়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এটি শক সিনড্রোমও হতে পারে, যা মারাত্মক।
ডেঙ্গির লক্ষণ
মাত্রাতিরিক্ত জ্বর, শরীর বা জয়েন্টে ব্যথা, মাথাব্যথা, পেট ব্যথা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, বমি, কম প্লেটলেট
কীভাবে রক্ষা পাওয়া যায়?
ডেঙ্গি ও জিকা- উভয় রোগ থেকে প্রতিরোধের পদ্ধতি একই। বাড়ির কাছে বা বাড়ির কোথাও জল জমতে দেবেন না। ফুল হাতা জামা পরুন। যদি কারও জিকার লক্ষণ দেখা যায়, তাহলে সেই রোগীর সংস্পর্শে আসা এড়িয়ে চলুন। জ্বরের পাশাপাশি মাথা ব্যথা বা পেশিতে ব্যথা হলে দ্রুত হাসপাতালে যান ও রক্ত পরীক্ষা করান।