শরীরের মেদ কমাতে সাহায্য করে ঘি! শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যের দিক থেকে আরও অনেক লাভজনক দিকও রয়েছে। এমনটাই দাবি পুষ্টিবিদের। অনেকের কাছেই চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় ওজন বেড়ে যাওয়া কিংবা মোটা হওয়া। অনেক ক্ষেত্রে এর জন্য অন্য রোগেরও আশঙ্কা থাকে। যেমন ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, উচ্চরক্তচাপ, অস্টিওরাইটিস, ঘুমের সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। শারীরীক সমস্যার থেকেও মানসিক অবসাদ, হীনমন্যতায় ভোগা, মানসিক স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। উদ্বেগ ভর করে। চামড়ার সমস্যা দেখা যায়। এমন অনেক সমস্যা দূর করতে পারে ঘি! কী বলছেন পুষ্টিবিদ?
যাঁরা শরীরের অতিরিক্ত মেদ ঝরানোর চেষ্টায় নানা পথ বেছে নেন, তাঁদের জন্য লাভজনক হতে পারে ডায়েটে ঘি-এর সংযোজন। ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো বার্তায় পুষ্টিবিদ নমামী আগরওয়াল বলেছেন, ‘যদি আপনাদের বলি ফ্যাট কমানোর জন্য সেরা উপায় ফ্যাট? বিশ্বাস করুন, এমন ভালো ফ্যাট রয়েছে যা ওজন কমাতে, মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।’
স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে পারে, ঘি-তে তো ফ্যাটের পরিমাণ অনেক বেশি। তা হলে এর মাধ্যমে শরীরের ফ্যাট কমানো কি আদৌ সম্ভব? পুষ্টিবিদ নমামীর কথায়, ‘মেদ ঝরাতে আমার পছন্দের ফ্যাট ঘি। পুষ্টির পাওয়ারহাউস বলা যায় ঘি-কে।’ এর কী কী লাভ রয়েছে সেটাও বলেছেন পুষ্টিবিদ।
নমামীর মতে-ঘি খেলে শরীরের মেটাবলিজম উন্নত হয়। তা ফ্যাটকে এনার্জিতে পরিণত করতে সাহায্য করে। হজমশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে ঘি। ওজনে ভারসাম্যের জন্য যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ঘি-খেলে অনেকটা সময় খিদে পায়না। তৃপ্ত থাকা যায়।
কফিতেও ঘি মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে! এমনটাই জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ। এর ফলে ইম্যুনিটি, হজমশক্তি এমনকি বুদ্ধিও বাড়ে। সঙ্গে এনার্জি এবং ওজন ঠিক রাখার জন্যও উপকারী বলেই দাবি পুষ্টিবিদ নমামী আগরওয়ালের।