হার্ট যখন পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত না পায় তখন অনেক দ্রুত তা পাম্প হতে থাকে। এর ফলে হৃৎপিন্ডের পেশী অনেক বেশি ক্লান্ত হয়ে যায়। হৃৎপিন্ডে রক্ত সরবরাহকারী ধমনীতে যদি ব্লকেজ হয় সেখান থেকে সমস্যা বেশি হয়। প্রথম থেকে তাই সতর্ক থাকুন। এই ভাবে হার্ট অ্যাটাকে হার্টের স্থায়ী ক্ষতি হয় এমনকী সেখান থেকে হতে পারে মৃত্যুও। গবেষণায় দেখা গিয়েছে সবচেয়ে গুরুতর হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটে সোমবার। বেলফাস্ট হেলথ অ্যান্ড সোশ্যাল কেয়ার ট্রাস্ট এবং আয়ারল্যান্ডের রয়্যাল কলেজ অফ সার্জনস-এর ডাক্তারদের মতে, প্রায় ১০,৫২৮ জন রোগীর তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছে সপ্তাহের শুরুতেই সবচেয়ে বেশি হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটেছে। আর এই বিশ্লেষণে আরও দেখা গিয়েছে, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনের ঘটনা সবচাইতে বেশি। এক্ষেত্রে করোনারি ধমনী সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায় আর সেখান থেকেই হয় বিপত্তি।
ব্রিটেনে প্রতি বছর ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষ হাসপাতালে ভর্তি হন হার্টের সমস্যা নিয়ে। এঞ্জিওপ্লাস্টির মাধ্যমে পুনরায় অবরুদ্ধ ধমনী খোলার ব্যবস্থা করা হয়। আর তাই হৃৎপিন্ড ঠিক রাখতে নিয়মিত ভাবে চিকিৎসা চালিয়ে যেতে হবে। হার্ট বিশেষজ্ঞরা এই সোমবারে হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা নিয়ে বিস্তর গবেষণা চালিয়েছেন। সেখানে সম্ভাব্য কারণ হিসেবে অনেক কিছুই উঠে এসেছে। ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশন আবার যেমন বলেছে,ব্রিটেনে প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটে।
কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটে?
এর কারণ হিসেবে উঠে এসেছে যেহেতু শরীরের ঘুমের ছন্দ সোমবারে কিছুটা হলেও ব্যাহত হয় সেখান থেকেই হার্ট অ্যাটাকের মত ঘটনা ঘটে। এছাড়াও গবেষকরা চিন্তিত আরও একটি বিষয় নিয়ে। তা হল সোমবার ছাড়াও ডিসেম্বরের শেষে প্রচুর হার্ট অ্যাটাকের ঘটনা ঘটে। ডিসেম্বরের শেষে সবচেয়ে মানুষ মারা যায় এই হার্ট অ্যাটাকে। এর মূল লক্ষণগুলি হল বুকে ব্যথা, বুকে চাপ লাগা, হাতে ব্যথা, কাঁধে ব্যথা হওয়া, পিঠে-ঘাড়ে-চোয়ালে ব্যথা, দুর্বল হয়ে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। যদিও পুরুও ও মহিলাদের মধ্যে এই লক্ষণ আলাদা।
হার্ট অ্যাটাক আর কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের মধ্যে ফারাক কী?
হার্ট অ্যাটাক কার্ডিয়ার অ্যারেস্টের কারণ হতে পারে তবে দুটি কখনই এক নয়। হার্ট অ্যাটাকে হৃৎপিণ্ডে ধমনীতে রক্ত সঞ্চালনে সমস্যা থাকে, হার্টের বৈদ্যুতিক সিস্টেমে সমস্যা হলে তখন কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়।