Uric Acid: একবার বসে পড়লে উঠতে কষ্ট হয়, ফুলছে পায়ের পাতা? এখনই এইসব খাবারে রাশ না টানলে বাত নিশ্চিত
Gout Problem: মুসুর ডালের মধ্যে প্রোটিন এবং ফাইবার অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। সেই সঙ্গে পিউরিনের পরিমাণও বেশি থাকে। তাই পিউরিন সীমিত পরিমাণে খান। মুসুর ডালের মধ্যে প্রোটিনও থাকে

পায়ের ব্যথা এখন কার নেই! আট থেকে আশি সকলেই ভুগছেন এই সমস্যায়। একবার বসে পড়লে উঠতে কষ্ট হয়, দাঁড়াতে কষ্ট হয়। সেই সঙ্গে চলতে-ফিরতেও অনেক রকম সমস্যা হয়। একটানা বসে থাকার পর অনেকেরই দাঁড়াতে সমস্যা হয়। পায়ে এমন ব্যথা হয় যে খুঁড়িয়ে চলতে হয়। এর সঙ্গে প্রতি জয়েন্টেও তীব্র ব্যথা থাকে। আর এই সব সমস্যার কারণ কিন্তু হল ইউরিক অ্যাসিড। ইউরিক অ্যাসিড বাড়লে সেখান থেকে গাউটের সমস্যা হতে পারে। আর তাই নজর দিতে হবে খাওয়া-দাওয়াতে। কিছু ডাল এমন আছে যার মধ্যে পিউরিন অত্যন্ত বেশি পরিমাণে থাকে। এই পিউরিনের কারণেই রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বাড়তে থাকে। যে কারণে যাদের গেঁটে বাত বা পায়ে ব্যথা হয় তাদের এই সব খাবার এড়িয়ে চলার কথা বলা হয় সব সময়। পুষ্টিবিদরা সব সময় বলেন ইউরিক অ্যাসিডে ডাল না খেতে। এতে শরীরে অনেক রকম সমস্যা আসে, ব্যথাও বাড়ে। একবার বসে পড়লে যদি উঠতে কষ্ট হয় তাহলে প্রথমেই যে খাবার আপনার ডায়েট থেকে দূরে রাখতে হবে তা হল-
মুসুর ডাল- মুসুর ডালের মধ্যে প্রোটিন এবং ফাইবার অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। সেই সঙ্গে পিউরিনের পরিমাণও বেশি থাকে। তাই পিউরিন সীমিত পরিমাণে খান। মুসুর ডালের মধ্যে প্রোটিনও থাকে। একেবারে বাদ না দিয়ে অল্প করে খান। অর্থাৎ বাতি ভর্তি ডাল খাওয়া যাবে না
ছোলার ডাল- ছোলার ডালে পিউরিনের পরিমাণ তুলনামূলক কম। তবে গাউটের সমস্যা হলে ডাল খাওয়ার পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে ফেলতে হবে। নইলে আরও বেশি সমস্যা হতে পারে।
বিউলির ডাল- গরম ভাতে পোস্ত আর বিউলির ডাল খেতে খুব ভাল লাগে। তবে এতে পিউরিনের মাত্রা তুলনামূলক ভাবে অনেকটাই বেশি। তাই বুঝে শুনে খেতে হবে
মটরডাল- মটরডালের মধ্যে পিউরিন খুবই বেশি থাকে। তাই যাঁদের ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা রয়েছে তাঁদের মটর ডাল একেবারেই খাওয়া ঠিক নয়। এমনকী এড়িয়ে চলতে হবে ঘুগনিও। তবে মুগ ডাল ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে খুব ভাল কাজ করে। তাই এই ডাল খেলে কোনও রকম ক্ষতি হয় না। কালো ছোলার মধ্যেও পিউরিনের মাত্রা অনেকটা কম থাকে
