AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nasal Drop: নাক বন্ধ হয়ে গেলেই নেজাল ড্রপ নেন? আদৌ ভাল না খারাপ?

Health News: নাক বন্ধ হওয়া বা ‘নেজাল কংজেশন’ বর্ষা, ঠান্ডা কিংবা অ্যালার্জির সময়ে খুব সাধারণ একটি সমস্যা। এই অবস্থায় অনেকেই তৎক্ষণাৎ নাক খোলার জন্য নেজাল ডিকনজেস্ট্যান্ট ড্রপ বা স্প্রে ব্যবহার করেন।

Nasal Drop: নাক বন্ধ হয়ে গেলেই নেজাল ড্রপ নেন? আদৌ ভাল না খারাপ?
| Updated on: Jul 31, 2025 | 8:36 PM
Share

নাক বন্ধ হওয়া বা ‘নেজাল কংজেশন’ বর্ষা, ঠান্ডা কিংবা অ্যালার্জির সময়ে খুব সাধারণ একটি সমস্যা। এই অবস্থায় অনেকেই তৎক্ষণাৎ নাক খোলার জন্য নেজাল ডিকনজেস্ট্যান্ট ড্রপ বা স্প্রে ব্যবহার করেন। যদিও এতে তাৎক্ষণিক স্বস্তি মেলে, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এর অপব্যবহার শারীরিক ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

নেজাল ড্রপের নিয়মিত ব্যবহারের ক্ষতি: নেজাল ড্রপ যেমন অক্সিমেটাজোলিন বা জাইলোমেটাজোলিন কয়েকদিন ব্যবহারের জন্য নিরাপদ হলেও, ৫–৭ দিনের বেশি ব্যবহার করলে ‘রিবাউন্ড কংজেশন’ হতে পারে। অর্থাৎ, ড্রপ বন্ধ করলেই নাক আবার বেশি বন্ধ হয়ে যায়। এতে নাকের রক্তনালীগুলো ফুলে যায় এবং সমস্যা আরও বাড়ে। কখনও কখনও ‘রাইনাইটিস মেডিকামেনটোসা’ নামক স্থায়ী সমস্যা তৈরি হয়।

তাহলে কী করবেন?

১. বাষ্প নেওয়া (Steam Inhalation): প্রতিদিন ২-৩ বার গরম জলের বাষ্প নাক দিয়ে শ্বাস নিয়ে নিলে শ্লেষ্মা নরম হয়ে বেরিয়ে আসে এবং নাক খোলে। এতে কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

২. স্যালাইন ওয়াটার স্প্রে: নতুন করে তৈরি বা বাজারচলতি স্যালাইন নেজাল স্প্রে ব্যবহার করলে নাকের শুষ্কতা ও জমাট শ্লেষ্মা দূর হয়। এটি ডিকনজেস্ট্যান্টের মত ক্ষতিকর নয়।

৩. জলপান বাড়ান: প্রচুর জল বা উষ্ণ তরল যেমন স্যুপ, হালকা গরম জল খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে, শ্লেষ্মা পাতলা হয় এবং নাক বন্ধ হওয়ার প্রবণতা কমে।

৪. অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণ করুন: ধুলো, ফুলের রেণু, পশম ইত্যাদি থেকে অ্যালার্জি হয়ে নাক বন্ধ হয়? সেক্ষেত্রে অ্যালার্জি প্রতিরোধে চিকিৎসকের পরামর্শমতো অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ গ্রহণ করুন।

৫. ঘরের পরিবেশ পরিষ্কার রাখুন: ধুলো, আর্দ্রতা ও ছত্রাকমুক্ত ঘর নাক বন্ধের সমস্যা অনেকাংশে কমায়। হিউমিডিফায়ার বা এয়ার পিউরিফায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে।

নাক বন্ধ হলে সঙ্গে সঙ্গে নেজাল ড্রপে ভরসা না করে, কারণটা বোঝা জরুরি। অতিরিক্ত ব্যবহার না করে প্রাকৃতিক উপায়ে স্বস্তি পাওয়ার চেষ্টা করুন। দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। স্বাস্থ্যবান জীবনশৈলীই হোক আসল ও টেকসই সমাধান।