Kidney Function: আপনার কিডনি কি দুর্বল? ওষুধ ছাড়াই ঘরোয়া উপায়ে বাড়িয়ে নিন কিডনির কর্মক্ষমতা
Kidney Problem Symptoms: কিডনিতে যেকোনও ধরণের সমস্যাই শরীরের বড় ক্ষতি করে। হাই ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিসের কারণে আমাদের কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
কিডনিকে (Kidney) বলা হয় ‘সাইলেন্ট কিলার’ অর্থাৎ কিডনির সমস্যা জানান দিয়ে আসে না। কিন্তু ভিতরে ভিতরে এটি শরীরকে ক্রমশ শেষ করে দেয়। কিডনি আমাদের শরীররে একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। রক্ত (Blood) পরিস্কার করার পাশাপাশি শরীরের সমস্ত বর্জ্য অপসারণ করে থাকে কিডনি। এছাড়াও শরীরে বিভিন্ন মিনারেলের ভারসাম্য বজায় রাখা কিডনির আরেকটি অন্যতম কাজ। কিডনির যেকোনও ধরনের সমস্যাই শরীরের বড় ক্ষতি করে। হাই ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিসের (Diabetes) কারণে আমাদের কিডনি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। কিডনি দুর্বল হয়ে পড়লে বেশ কিছু উপসর্গ দেখা দেয়। কী সেই উপসর্গ গুলি? এই সমস্যার নিরাময়ই বা কী? আসুন জেনে নেওয়া যাক…
ফোলা চোখ: অনেকসময়ই বিনা কারণে চোখ ফুলে যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিডনির সমস্যা দেখা দিলে নাকি এমনটা হয়।
প্রস্রাবের সমস্যা: রাত্রিবেলা বারবার প্রস্রাব পাওয়া কিন্তু কিডনির সমস্যার অন্যতম লক্ষণ।
মুখ ফুলে যাওয়া: মুখ ফুলে যাওয়া ও ফেনাযুক্ত প্রস্রাব দুর্বল কিডনির আরেকটি উপসর্গ।
নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ: কিডনিতে সমস্যা দেখা দিলে অনেক সময়ই মুখে দুর্গন্ধ হয়।
ঘরোয়া উপায়ে কী ভাবে কিডনির সমস্যা সারিয়ে তুলবেন জেনে নিন…
লেবুর রস ও ভিটামিন সি যুক্ত খাবার: রোজ পাতে এক টুকরো লেবু রাখুন। লেবুর সরবতও খেতে পারেন। লেবুতে সাইট্রিক অ্যাসিড থাকে যা কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না। শুধু তাই নয় কিডনিতে জমা খুব ক্ষুদ্র আকারের পাথর গলিয়ে দেয় লেবু। শশা, ব্রোকোলি জাতীয় সবুজ শাকসবজি বেশী করে খান। এতে কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়ে।
কম পটাশিয়াম যুক্ত খাবার: কম পটাশিয়াম যুক্ত খাবার বেছে নিন। কলা, কমলালেবু, আলু, পালং শাক, টমেটোতে অধিক পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। এই ধরণের খাবারগুলি এড়িয়ে চলুন। অন্যদিকে আপেল, বাধাকপি, গাজর, আঙুর, স্ট্রবেরিতে পটাশিয়ামের পরিমাণ কম। এই ধরণের খাবার গুলি বেশী করে খান।
শাকের রস: কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত শাকের রস খান। ভারী খাবার খাওয়ার আগে ১-২ গ্লাস শাকের রস খান।
ডান্ডেলিয়ন ফুলের গোড়া: ডান্ডেলিয়ন ফুলের গোড়া হজম শক্তি বাড়াতে দারুণ কাজ করে। এছাড়াও কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে এই ফুল।
প্রোটিন গ্রহণ নিয়ন্ত্রণ করুন: সারাদিনে ঠিক কতটা পরিমাণে প্রোটিন গ্রহণ করছেন তার হিসেব রাখা জরুরি। অত্যধিক প্রোটিন কিন্তুু শরীররে জন্য ভাল নয়। কিডনির সমস্যা এড়াতে প্রোটিন গ্রহনে হ্রাস টানতে হবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।