Heart Break: মন ভাঙলে শরীরের ক্ষতি কতটা? হার্ট-ব্রেকের জেরে হতে পারে বুকে ব্যথা
Broken Heart Syndrome: ব্রেকআপ কিংবা কোনও বিষয় নিয়ে মন খারাপ শুধু যে আপনাকে মানসিকভাবে ভাবিয়ে তোলে, তা নয়। মন ভাঙলে শারীরিক ভাবেও তার কষ্ট প্রকাশ পায়।

প্রেমে পড়লে মনটা ফুরফুরে হয়ে যায়। মন ভাল থাকে। ঠোঁটের কোণে হাসি লেগে থাকে। আর ঠিক উল্টোটা ঘটে যখন মন ভাঙে। ভালবাসায় মন ভাঙলে সব কিছু বেরঙিন হয়ে ওঠে। প্রিয় গানও শুনতে ইচ্ছে করে না। চোখের পাতায় ঘুম আসে না। খিদে কমে যায়। নিজেকে সামলে নিলেও ফিরে ফিরে আসে পুরনো স্মৃতি। তবুও মন ভাঙার কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে ব্রেকআপ কিংবা কোনও বিষয় নিয়ে মন খারাপ শুধু যে আপনাকে মানসিকভাবে ভাবিয়ে তোলে, তা নয়। মন ভাঙলে শারীরিক ভাবেও তার কষ্ট প্রকাশ পায়।
মন ভাঙলে কেন এত কষ্ট হয়, তার একটি ফিজিওলজিক্যাল ব্যাখ্যা দিয়েছে লাইভ সায়েন্স। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মন ভাঙলে তার কষ্ট শারীরিকভাবেও আমরা অনুভব করি এবং এর পিছনে দায়ী আমাদের হরমোন। যখন আপনি প্রেমে পড়েন, তখন শরীরে ‘ফিল-গুড’ হরমোন উৎপন্ন হয়। তখন ‘কাডল’ হরমোন অক্সিটোসিন এবং ‘ফিল-গুড’ হরমোন ডোপামাইন উৎপন্ন হয় এবং মন ফুরফুরে থাকে। আর মন ভাল থাকায় আপনার মুখে-চোখেও সেই আনন্দ ধরা পড়ে।
একইভাবে, প্রেমে বিচ্ছেদ ঘটলে শরীরে অক্সিটোসিন ও ডোপামাইন হরমোনের মাত্রা কমে যায়। উল্টে বেড়ে যায় ‘স্ট্রেস’ হরমোন কর্টিসলের মাত্রা। এই কর্টিসল হরমোনের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে রক্তচাপ বাড়ে, ওজন বাড়তে থাকে এবং ঘিরে ধরে বিষণ্ণতা। অর্থাৎ মন ভাঙার সঙ্গে হরমোনের ভারসাম্যহীনতার জেরে শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন দেখা দেয়। এই অবস্থাকে আপনি ‘মন খারাপ’ বললেও, চিকিৎসা ভাষায় একে বলে ‘তাকাতুবো কার্ডিওমায়োপ্যাথি’ বা ‘ব্রোকেন হার্ট সিন্ড্রোম’ (Broken Heart Syndrome)। চিকিৎসকদের মতে, এটি হার্টের এক ধরনের অবস্থা যা স্বল্পমেয়াদী, যা তীব্র মানসিক বা শারীরিক চাপের কারণে শুরু হয়। এর জেরে হৃৎপিণ্ডের রক্ত পাম্প করার পদ্ধতিতে অস্থায়ী পরিবর্তন ঘটে। কখনও-কখনও হৃদপিণ্ডকে রক্ত পাম্প করতে আরও কসরত করতে হয়। এই কারণে বুকে ব্যথাও অনুভব হয়।
‘ব্রোকেন হার্ট সিন্ড্রোম’ কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কারও দিন, কারও আবার মাস, আবার কারও বছরও লেগে যায়। খুব কম ঘটনাই রয়েছে যেখানে মন ভাঙার কারণে কিংবা ‘ব্রোকেন হার্ট সিন্ড্রোম’-এ আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তবে, বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগ সবচেয়ে বেশি মহিলাদের মধ্যে দেখা যায়। হয়তো অতিরিক্ত আবেগপ্রবণ হওয়ার কারণেই এমনটা ঘটে।
