Heart Attack vs Heartburn: হার্ট অ্যাটাক নাকি অ্যাসিডিটি, পার্থক্য করবেন কোন লক্ষণে?
Symptoms: হার্ট অ্যাটাক ও হার্ট বার্নের তফাৎটা জেনে রাখা ভাল, যাতে সময় থাকতেই আপনার সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
সম্প্রতি কেকে-র মৃত্যুর ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। হৃদরোগের সমস্যাকে গ্যাসের সমস্যা ভেবে ভুল করায় আজ পরিণতি হয়ে মৃত্যু। হার্ট অ্যাটাক এবং বুক জ্বালা দুটো সম্পূর্ণ আলদা শারীরিক অবস্থা। কিন্তু হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে এমন এক অবস্থা যা বুক জ্বালা, গ্যাসের সমস্যার চেয়ে অনেক বেশি ভয়াবহ। কিন্তু সমস্যা হল বুকে ব্যথা, চাপ লাগার উপসর্গগুলো মানুষ বদহজমের সমস্যা ভেবে উপেক্ষা করে যায়। কিন্তু আদতে সেটা নয়। তাই হার্ট অ্যাটাক ও হার্ট বার্নের তফাৎটা জেনে রাখা ভাল, যাতে সময় থাকতেই আপনার সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেন।
হার্ট অ্যাটাক, যাকে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশনও বলা হয়। এটি এমন একটি পরিস্থিতি যখন একটি করোনারি ধমনী হৃৎপিণ্ডের পেশীগুলিতে পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ করে না। করোনারি ধমনী হৃৎপিণ্ডের পেশীতে অক্সিজেনযুক্ত রক্ত বহন করে। এগুলি হৃৎপিণ্ডের সঠিক কার্যকারিতার জন্য প্রয়োজন। পর্যাপ্ত রক্ত সরবরাহ না হলে হার্ট কাজ করা বন্ধ করে দেয় আর তখন ঘটে হার্ট অ্যাটাক।
সাধারণত কাঁধ, পিঠ, বাহু, ঘাড়, চোয়াল এবং দাঁতে ব্যথা হার্ট অ্যার্টাকের জানান দেয়। এছাড়াও বুকে ব্যথা, বুকে চাপ লাগা, শরীর শক্ত হয়ে যাওয়া, হঠাৎ ঠান্ডা লাগা, ঘাম, ক্লান্তি, মাথা ঘোরা, বমি ভাব, ডিসপেপসিয়া এবং শ্বাসকষ্টও হৃদরোগের লক্ষণ। অনেকের ক্ষেত্রে পেটের উপরের অংশে অস্বস্তি হয়। এই ধরনের উপসর্গগুলো কখনওই উপেক্ষা করা উচিত নয়।
অন্যদিকে, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সমস্যা তখন ঘটে যখন পাকস্থলী থেকে অ্যাসিড খাদ্যনালীতে উঠে আসে। মূলত আমাদের পাকস্থলীতে যে অ্যাসিড থাকে তা আমাদের হজমে সাহায্য করে। কিন্তু অ্যাসিড যখন খাদ্যনালীতে পৌঁছে যায় তখন খাদ্যনালীর পেশিগুলো এই অ্যাসিডের মোকাবিলা করতে পারে না। তখনই বুক জ্বালা, বুক ব্যথার মতো লক্ষণগুলো দেখা দেয়। কিন্তু আপনাকে অ্যাসিড রিফ্লাক্স ও হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।
সাধারণত অস্বাস্থ্যকর খাবার, ভারী খাবার অ্যাসিডিটির সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। এই ক্ষেত্রে ঘাড়, চোয়াল এবং দাঁতে ব্যথা, শ্বাসকষ্টের সমস্যা বা হালকা মাথা ব্যথার সমস্যা দেখা দেয় না। অ্যাসিডিটি হলে একটা অ্যান্টাসিড গ্রহণ করলেই স্বস্তি মেলে শরীরে। তাই বুকে ব্যথার পিছনে শুধু যে বদহজমের সমস্যা দায়ী এই ভুল একদম নয়। আবার অনেক সময় সর্দি-কাশির জন্যও বুকে প্রদাহ থেকে বুকে ব্যথার সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এই বিষয়ে সচেতন থাকুন।
তবে কারণ যাই-ই হোক না কেন, বুকে ব্যথার উপসর্গকে হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। যদি বুকে ব্যথার সঙ্গে অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হয় বা অজ্ঞান হয়ে যান তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
দৈনন্দিন জীবনে এই সব রোগের ঝুঁকি কমানোর জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। ব্যায়াম করার সময় না পেলেও প্রতিদিন অন্তত ৫,০০০ স্টেপ হাঁটুন। এর পাশাপাশি সুষম আহার খান। তৈলাক্ত বা চর্বিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সর্বোপরি ধূমপানের অভ্যাস ত্যাগ করুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।