Thyroid Weight loss: থাইরয়েড বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজনও বাড়ছে? সমস্যা সমাধান করতে ডায়েটে রাখুন এই খাবারগুলি…

Hypothyroidism: থাইরয়েডের এই সমস্যায় শরীরের বিপাক ঠিকমতো হয় না। আর মেটাবলিজম কমে গেলেই ওজন কমাতে সমস্যা হবে। তাই রোজ নিয়ম করে ঘাম ঝরানো এক্সসারসাইজ এবং কার্ডিয়ো করতেই হবে

Thyroid Weight loss: থাইরয়েড বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ওজনও বাড়ছে? সমস্যা সমাধান করতে ডায়েটে রাখুন এই  খাবারগুলি...
থাইরয়েডের সমস্যায় যেমন হবে আপনার ডায়েট
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 18, 2022 | 7:02 AM

কোভিড পরবর্তী সময়ে শরীরে জাঁকিয়ে বসেছে একাধিক হরমোনের ভারসাম্যজনিত সমস্যা। আর সেই তালিকায় একেবারে উপরের দিকে রয়েছে থাইরয়েড। শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হল এই থাইরয়েড হরমোন। এই হরমোনের মধ্যে যাদি ভারসাম্যজনিত সমস্যা দেখা দেয় তাহলে সেখান থেকে শরীরে একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। তুলনায় মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা বেশি। যদিও অধিকাংশ মানুষই এই রোগের উপসর্গ নিয়ে সচেতন নন। এমনকী আক্রান্ত হয়ে থাকলেও নিজেরা জানতে পারেন না। খুব সমস্যা হলে এবং রক্তপরীক্ষা করালে তখনই ধরা পড়ে। আমাদের বৃদ্ধি, বিবাক এবং কোষের ক্ষতপূরণে সাহায্য করে থাইরয়েড। যে কারণে এই হরমোনের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই জরুরি। খাবার থেকে যে এনার্জি পাওয়া যায় সেই শক্তি রূপান্তরে সাহায্য করে থাইরয়েড হরমোন।

হাইপোথাইরয়েডিজম হল এমন একটি সমস্যা যেখানে শরীরে প্রয়োজনীয় থাইরয়েড হরমোন তৈরি হয় না। ফলে বিপাকের সমস্যা হয়, শরীরে প্রয়োজনীয় হরমোন তৈরি হয় না। যতটা পরিমাণ ক্যালোরি পোড়ানোর প্রয়োজন তা হয় না। আর তাই হাইপোথাইরয়েডিজমে আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ওজন বেড়ে যাওয়া, সব সময় ঠাণ্ডা লাগা, ক্লান্ত বোধ-এ সব লেগেই থাকে। শরীরে হরমোনের ভারসাম্য না থাকার কারণেই ওজন বাড়তে থাকে। তাই থাইরয়েডে ওজন নিয়ন্ত্রণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক ওষুধের ডোজ নির্ধারণ করে প্রথমে এই হরমোনের ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণে আনতে হয়। তবেই মেটাবলিজম ঠিক থাকে। মেটাবলিজম কমে গেলে সেখান থেকে একাধিক শারীরিক সমস্যাও আসে। ক্লান্তি বেশি থাকলে পরিশ্রমও করা যায় না, ফলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রাও বেড়ে যায়। তখন ওজন কমানোও অনেক বেশি কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। তাই হাইপোথাইরয়েডিজমের সমস্যা হলে প্রথম থেকেই কার্ডিয়ো এক্সসারসাইজের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে নিয়মিত ভাবে দৌড়নো, দ্রুত হাঁটা এসবও রোজ করতে হবে। দেখতে হবে ডায়েটে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন আর খনিজ আছে কিনা! কারণ এই হাইপোথাইরয়েডিজমের মুখ্য উদ্দেশ্যই হল ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা।

ফাইবার- রোজকার ডায়েটে ফাইবার রাখতেই হবে। ফাইবার আমাদের অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন বের করে দিয়ে শরীরকে সুস্থ রাখার কাজ করে এই ফাইবার। তাই ফাইবার সমৃদ্ধ ফল, শাক-সবজি, ডাল অবশ্যই রাখবেন রোজকার ডায়েটে।

আয়োডিন- থাইরয়েডের রোগীদের রোজকার খাদ্যতালিকাতে আয়োডিন রাখতেই হবে। আয়োডিন শরীরে থাইরয়েড হরমোনের কার্যকারিতাকে সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে। যে কারণে এই সমস্যায় মাছ, দুধ, ডিম এসব বেশি করে খেতে বলা হয়। এতে শরীরে TSH হরমোনের উৎপাদন বাড়ে। কমে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও।

গ্লুটেন মুক্ত খাবার- একাধিক গবেষণায় দেকা গিয়েছে যাঁদের থাইরয়েডের সমস্যা রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে গ্লুটেন যুক্ত খাবারে একটু সমস্যা থেকেই যায়। গ্লুটেনের সঙ্গে হাশিমোটোর থাইরয়েডাইটিসের গভীর সম্পর্ক রয়েছে। ফলে শরীরে থাইরয়েড হরমোন উৎপাদন ব্যহত হয়। থাইরয়েড কম সক্রিয় থাকে।

সেলেনিয়ামও রাখুন- থাইরয়েড হরমোন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে রোজকার খাবারের তালিকায় সেলেনিয়ামের পরিমাণও বাড়াতে হবে। বাদাম ডিম আর লেবুর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে সেলেনিয়াম। যা শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।