AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Period Mood Swings: পিরিয়ডের সময় মুড সুইং মাথাচাড়া দেয়? সমস্যা এড়াতে কী কী করবেন?

অনেক মহিলার মাসিকের সময় মুড সুইং হয়। সেই মুড সুইংয়ের চক্করে অনেকের কাজে নানা সমস্যা হয়। বেশ কয়েকটি অভ্যাস মেনে চললে মুড সুইং নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।

Period Mood Swings: পিরিয়ডের সময় মুড সুইং মাথাচাড়া দেয়? সমস্যা এড়াতে কী কী করবেন?
পিরিয়ডের সময় মুড সুইং মাথাচাড়া দেয়? সমস্যা এড়াতে কী কী করবেন?Image Credit: Canva
| Updated on: Aug 15, 2025 | 3:37 PM
Share

পিরিয়ডের আগে এবং পিরিয়ড চলাকালীন অনেক মহিলার মুড সুইং হয়, বা মানসিক অবস্থার ওঠানামা দেখা দেয়। বিরক্তি, দুঃখ, উদ্বেগ, কখনও আবার হঠাৎ খুশি হয় মন —এমন পরিবর্তন মূলত হরমোনের পরিবর্তনের ফল। বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রিমেনস্ট্রুয়াল সিনড্রোম (PMS) এই অবস্থার অন্যতম কারণ। যা ইস্ট্রোজেন ও প্রজেস্টেরনের ওঠানামার সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। যদিও এটি একটি স্বাভাবিক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া, কিছু অভ্যাস মেনে চললে মুড সুইং (Period Mood Swings) অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।

পিরিয়ডে মুড সুইং এড়ানোর উপায় কী?

  • সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। চিনি ও অতিরিক্ত ক্যাফেইন এড়িয়ে চলতে হবে। শাকসবজি, ফল, হোলগ্রেন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খেলে মুড স্থিতিশীল থাকে।
  • পর্যাপ্ত জল পান জরুরি। ডিহাইড্রেশন শরীরে ক্লান্তি ও খিটখিটে মেজাজ বাড়ায়। দিনে অন্তত ৮–১০ গ্লাস জল পান করুন।
  • নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করতে হবে। যোগা, হাঁটা বা স্ট্রেচিং এন্ডোরফিন হরমোন বাড়িয়ে মুড ভাল রাখে।
  • ঘুমের সঠিক অভ্যাস তৈরি করতে হবে। প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা গভীর ঘুম হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে ও মুড সুইং কমায়।
  • স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করতে হবে। মেডিটেশন করা প্রয়োজন, গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস বা গান শুনলে মানসিক চাপ কমতে পারে।
  • পর্যাপ্ত ম্যাগনেসিয়াম ও ভিটামিন বি৬ গ্রহণ করতে হবে। বাদাম, কলা, পালং শাক, ডাল, ডিম ইত্যাদিতে থাকা পুষ্টি মুড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
  • নিজেকে ব্যস্ত রাখতে হবে। বই পড়া, হাতের কাজ, রান্না বা পছন্দের কাজে মন দিলে নেতিবাচক চিন্তা কমে।

বিশেষজ্ঞের পরামর্শ – যদি পিরিয়ডের সময় মুড সুইং দীর্ঘস্থায়ী হয় বা দৈনন্দিন জীবনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়, সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এ ছাড়া হরমোনাল কনট্রাসেপ্টিভ বা সাপ্লিমেন্ট কখনও কখনও উপকারী হতে পারে, তবে এগুলো নেওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।