সকালে পেট পরিষ্কার না হলে অস্বস্তি লেগেই থাকে। পেট ফুলে ফেঁপে থাকে, খাওয়ার কোনও ইচ্ছে থাকে না, গ্যাস হয়, বুকে-পিঠে ব্যথা থাকে সব মিলিয়ে মেজাজ যেন খাপছাড়া হয়ে থাকে। কোনও খাবারও সহজে হজম হতে চায় না। যে কারণে সকালে উঠে পেট পরিষ্কার রাখাটা খুবই জরুরি। সকালে উঠেই যদি পেট পরিষ্কার হয়ে যায় তাহলে সারাদিন মন ভাল থাকে। শরীরের ডিটক্সিফিকেশনও ভাল হয়। খেয়াল করে দেখবেন যেদিন পেট পরিষ্কার হয় না সেদিন সব কাজেই সমস্যা হয়। শীতের দিনে এই সমস্যা বেশি হয়। যাদের পাইলস বা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থাকে তাদের সারাবছরই এই অস্বস্তি লেগেই থাকে। যে কারণে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেতে বলা হয়। এছাড়াও জলও বেশি করে খেতে হবে।
অনেকেই প্রশ্ন করেন পেট ঠিকমতো পরিষ্কার হচ্ছে না বলে নিয়মিত ওষুধ খান কিন্তু তারপরও কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। এ বিষয়ে চিকিৎসকদেরই বা মত কী?
চিকিৎসকদের মতে সঠিক ভাবে পেট পরিষ্কার না হওয়ার একাধিক কারণ থাকতে পারে।
কম ফাইবার যুক্ত খাবার খেলে, পরিমাণ মতো জল না খেলে, শারীরীক ভাবে সক্রিয় না থাকলে, ডিপ্রেশনের মধ্যে থাকলে, হাই ডোজের পেইনকিলার খেলে এই সমস্যা হয়। আর তাই সাধারণ ভাবে এই সমস্যা হলে চিন্তার কোনও কারণ নেই। নিয়মিত ভাবে জল, ফল এবং ফাইবার খেলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য কোনও রোগ নয়, তবে তা অন্যান্য শারীরিক সমস্যার লক্ষণ হতে পারে। মূলত খাদ্যাভ্যাস আর জীবনযাত্রা এর সঙ্গে সম্পর্কিত। আর তাই সময়মতো কোষ্ঠকাঠিন্য নিয়ন্ত্রণ করে রাখা খুব জরুরি। নইলে পরবর্তীতে অনেক সমস্যা আসতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কী করবেন?
শরীরের প্রয়োজনে রোজ খাবারের তালিকায় বেশি করে ফাইবার রাখতেই হবে। আর কোষ্ঠকাঠিম্য থাকলে সেই ফাইবারের পরিমাণ আরও বাড়াতে হবে। রোজ টাটকা ফল, শাকসবজি, ওটস, ইসবগুল এসব খেতে হবে। সকালে উঠেই দু গ্লাস ইষদুষ্ণ জল খান। গরম দুধে চিয়া সিডস মিশিয়ে খেতে পারলেও খুব ভাল। দুপুরের খাবার খেয়ে ৩০ মিনিট পর হালকা যোগাসন করে তবেই ঘুমোন। রোজ মর্নিং ওয়াক করতে পারলেও খুব ভাল। রোজ তাড়াতাড়ি ঘুমোতে গেলে এবং ঘুম থেকে উঠলেও অনেক সমস্যার সহজ সমাধান হয়ে যায়।
আয়ুর্বেদ অনুসারে কী ভাবে পেট পরিষ্কার রাখবেন?
আয়ুর্বেদ বলছে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ওষুধ না খেয়ে ভরসা রাখতে ঘরোয়া উপায়ের উপরই। কালো কিশমিশ রাতে জলে ভিজিয়ে রেখে পরদিন সকালে সেই জল ছেঁকে খেলে অনেক কাজ হয়ে যায়। সকালে রোজ ইষদুষ্ণ জল খেয়ে তবেই হোক দিনের শুরু। ঘুম ঠিকমতো না হলে, মনের মধ্যে অতিরিক্ত টেনশন থাকলে, জল কম খাওয়া, খাবার ঠিকমতো চিবিয়ে না খেলে এবং কিছু ওষুধ খাওয়ার কারণেই কিন্তু এই সমস্যা হয়।