PCOS-Weight Loss: পিসিওএসের সমস্যা সত্ত্বেও ওজন কমিয়েছেন সারা আলি খান, কোন ডায়েট টিপস মেনে জানেন?
Diet Tips for Women Health: পিসিওএস এবং পিসিওডি উভয় ক্ষেত্রে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা সবচেয়ে বেশি। আবার এই দুই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে গেলে এবং অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দূর করতে হলে ওজন কমানো জরুরি। তবে, পিসিওএস এবং পিসিওডি থাকলে যে ওজন কমানো যায় না, এই ধারণা সম্পূর্ণরূপে ভুল।

১৫ থেকে ৪৫, ৮০ শতাংশ মহিলাই আজকাল পিসিওএস ও পিসিওডি-এর সমস্যায় ভুগছেন। পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম (পিসিওএস) এবং পলিসিস্টিক ওভারিয়ান ডিজ়িজ় (পিসিওডি)—দুটোই ওভারির সঙ্গে সম্পর্কিত এবং এর জেরে ওজন বাড়তে থাকে। অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া, শরীরচর্চায় অনীহা, মানসিক চাপ এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে পিসিওডি-এর সমস্যা দেখা দেয়। আর পিসিওডি-তে আক্রান্ত হলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, চুল পড়া এবং ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। অন্যদিকে, দেহে পুরুষ হরমোনের মাত্রা বেড়ে গেলে পিসিওএস-এর সমস্যা দেখা দেয়। পিসিওএস-এর জেরে মুখে ও শরীরের অন্যান্য অংশে লোমের আধিক্য বেড়ে যায়, ব্রণ, চুল পড়া এবং ওজন বেড়ে সমস্যা দেখা দেয়।
পিসিওএস এবং পিসিওডি উভয় ক্ষেত্রে ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা সবচেয়ে বেশি। আবার এই দুই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে গেলে এবং অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা দূর করতে হলে ওজন কমানো জরুরি। তবে, পিসিওএস এবং পিসিওডি থাকলে যে ওজন কমানো যায় না, এই ধারণা সম্পূর্ণরূপে ভুল। একসময় অভিনেত্রী সারা আলি খান ৯৬ কেজি ছিলেন। সে সময়কার ছবিও ঘোরাফেরা করে নেটদুনিয়ায়। কিন্তু বর্তমানে তাঁকে দেখে এটা বিশ্বাস করা কঠিন। এখন সারা আলি খান অন্যান্য নায়িকাদের মতোই শারীরিকভাবে ফিট। পিসিওএস এবং পিসিওডি থাকা সত্ত্বেও ডায়েট ও শরীরচর্চার মাধ্যমেই ওজন কমানো সম্ভব। কীভাবে? রইল টিপস।
১) খাদ্যতালিকা থেকে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কমান। কার্বস আপনার ইনসুলিনের মাত্রার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই চেষ্টা করুন লো-কার্ব ডায়েট মেনে চলার। যে সব খাবারের গ্লাইসেমিক সূচক কম, সেগুলো পাতে রাখুন। এতে ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য এবং সুগার লেভেল দুটোই বজায় থাকবে।
২) খাদ্যতালিকায় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারের পরিমাণ বৃদ্ধি করুন। মহিলাদের প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ২৫ গ্রাম ফাইবার রাখা জরুরি। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার ইনসুলিন হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ভাত-রুটি খান। সঙ্গে প্রচুর শাকসবজি রাখুন। গোটা শস্য, ফল ও বাদাম খান।
৩) ফাইবারের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট ও প্রোটিনও জরুরি। পিসিওএস বা পিসিওডি থাকলে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার ওজন কমাতে সাহায্য করে। দুগ্ধজাত পণ্য, ডাল, ডিম, বাদাম, সামুদ্রিক মাছ, মুরগির মাংস খেতে পারেন। একইভাবে, স্বাস্থ্যের জন্য জরুরি স্বাস্থ্যকর ফ্যাট। এটি অস্বাস্থ্যকর খাবার প্রতি আকাঙ্ক্ষা কমায় এবং হার্টের স্বাস্থ্যকে ভাল রাখে। পাশাপাশি ওজন কমায়।
৪) পিসিওএস ও পিসিওডি-এর সমস্যায় ভুগলে প্রক্রিয়াজাত ও চিনিযুক্ত খাবার ও পানীয় এড়িয়ে চলুন। এগুলো রক্তে শর্করা মাত্রা বাড়াতে পারে, হরমোন ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে এবং ওজন বাড়িয়ে দিতে পারে।
৫) পিসিওএস ও পিসিওডি-এর সমস্যায় প্রতিদিন শরীরচর্চা করা জরুরি। সপ্তাহে অন্তত তিনবার ৪৫-৬০ মিনিট ব্যায়াম করুন। এটি আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি ঋতুস্রাব সংক্রান্ত সমস্যাকেও নিয়ন্ত্রণে রাখবে।





