শীত পড়তেই শরীরে জাঁকিয়ে বসে একাধিক সমস্যা। সর্দি, কাশি, পেটখারাপ, হজমের সমস্যা এসব লেগেই থাকে। যাঁদের হাঁপানির সমস্যা থাকে শীতে তাঁদেরও খুব সাবধানে থাকতে হয়। এছাড়াও যে কোনও ব্যথা বাড়ে শীতেই। হাড়ের ব্যথা, জয়েন্টের ব্যথা, বাতের ব্যথা- সবকিছুই বাড়তে থাকে শীতে। আর ঠাণ্ডার কারণে অনেকেই মর্নিং ওয়াক বন্ধ করে দেন। সব মিলিয়ে শরীর একটু দুর্বলই থাকে শীতের সময়। এদিকে যাবতীয় অনুষ্ঠান, পার্টি এসব লেগে থাকে শীতের সময়েই। ফলে শরীর সুস্থ রাখাও আমাদের কর্তব্য। আবহাওয়ার পরিবর্তন হলে সব বয়সের সব মানুষের উপরই প্রভাব পড়ে। যে কারণে আগে থেকে সতর্ক হওয়াটা খুবই জরুরি।
বিশেষজ্ঞরা সব সময় জোর দেন বাড়ির তৈরি খাবারের উপরেই। যাঁরা নিয়মিত ভাবে জিম করেন তাঁরা অনেকেই কেনা প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট খেয়ে থাকেন। সকালে ঘুম থেকে উঠে একমুঠো ভেজানো ছোলা-বাদাম আর আখের গুড় খাওয়ার অভ্যাস এখন আর নেই। শীতের দিনে অনেকেই দিন শুরু করেন কড়া করে বানানো এক কাপ দুধ কফিতে। তবে এই দুধ আর কফি কোনওটাই শরীরের জন্য ভাল নয়। তার পরিবর্তে বানিয়ে নিন স্বাস্থ্যকর এই প্রোটিন পাউডার।
সকালে ঘুম থেকে উঠে খালিপেটে খেজুর, আমন্ড এসব খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। আমন্ডের অনেক গুণ। বাদামে রয়েছে অনেক গুণ। চুল এবং ত্বকের পরিচর্যার পাশাপাশি শরীরে ভরপুর পুষ্টি জোগানো- সব ক্ষেত্রেই আমন্ড বা বাদাম কিন্তু ১০০ তে ১০০। তাই রোজ সকালে দুটো করে বাদাম আপনি খেতেই পারেন। আগের দিনে রাতে জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন বাদাম। এর ফলে আমন্ডের খোসা নরম হয়ে যায়। তাই চাইলে আপনি খোসা ছাড়িয়েও বাদাম বা আমন্ড খেতে পারবেন। এই আমন্ড, শুকনো খেজুর, ড্রাই রোস্ট ছোলা আর মাখানা একসঙ্গে পেষাই করে বানিয়ে নিন পেশাল এই পাউডার। এই হেলদি পাউডার বানাতে যা কিছু লাগছে-
শুকনো খেজুর-১৫ টা
আমন্ড- ১০০ গ্রাম
ড্রাই রোস্ট ছোলা- এক বাটি
মাখানা- ১০০ গ্রাম
যে ভাবে বানাবেন- খেজুরের থেকে বীজ বের করে রাখুন। আমন্ড, ছেলা, মাখানা সব কিছু ড্রাই রোস্ট করে নিন। এবার গ্রাইন্ডারে প্রথমে বাদাম, ছোলা পিষে নিন। তারপর মাখানা আর খেজুর দিয়ে পিষে নিন। স্বাদের জন্য সামান্য ছোট এলাচের দানা দিতে পারেন। ভাল করে সব গুঁড়ো হয়ে গেলে একটা এয়ার টাইট কন্টেনারে রেখে দিন। ব্রেকফাস্টে এক গ্লাস গরম দুধের সঙ্গে এই পাউডার ৩ চামচ মিশিয়ে খান। এতে ৬ ঘণ্টা পর্যন্ত খিদে পাবে না।