PCOD Diet Tips: পিসিওডি-এর সমস্যা ভোগাচ্ছে? মেয়েরা মেনে চলুন পুষ্টিবিদের এই টিপস

Women Health: পিসিওডি ও পিসিওএস-এর সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মাত্র দু’টো উপায় রয়েছে। এক, ওজন কমানো এবং দ্বিতীয়টি হল হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা।

PCOD Diet Tips: পিসিওডি-এর সমস্যা ভোগাচ্ছে? মেয়েরা মেনে চলুন পুষ্টিবিদের এই টিপস
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 09, 2022 | 7:56 PM

এখন ভারতে প্রতি ৫জন মহিলার মধ্যে ৩জন পলিসিস্টিক ওভারির সমস্যায় ভোগেন। বয়ঃসন্ধিকাল থেকেই এখন মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা দেখা দেয়। পলিসিস্টিক ওভারিতে মূলত দু’টি সমস্যা দেখা দেয়। এক, পলিসিস্টিক ওভারি ডিজ়িজ় এবং পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম। এই দু’টো সমস্যাই ওভারিতে দেখা দেয় এবং এই রোগ দু’টির উপসর্গও কিছুটা একই। তবু এই রোগ দু’টি আলাদা। কিন্তু এই সমস্যাকে কীভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, এই প্রসঙ্গে TV9 বাংলার মাধ্যমে ডায়েট টিপস শেয়ার করলেন পুষ্টিবিদ রাখী চট্টোপাধ্য়ায়।

পিসিওএস বা পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম হল এন্ডোক্রিন সিস্টেম ডিসঅর্ডার। পিসিওএস-এ আক্রান্ত হলে ওভারিতে প্রচুর পরিমাণে এন্ডোজেন তৈরি হয়। ফলে ডিম্বাণু তৈরি হতে এবং ঋতুস্রাবের সময় তার নিঃসরণ হতেও সমস্যা তৈরি হয়। এই ডিম্বাণুগুলোই তরল পূর্ণ সিস্টে পরিণত হয় এবং ওভারিতে জমা হতে থাকে।

অন্যদিকে, পিসিওডি-তে আক্রান্ত হলে অনিয়মিত ঋতুস্রাব, ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার মতো লক্ষণ দেখা দেয়। ফলে ঋতুস্রাবের সময় অপরিণত ডিম্বাণু নির্গত হয়। পাশাপাশি পিসিওডি-তে আক্রান্ত হলে ব্রণর সমস্যা বাড়তে থাকে এবং শরীরে তৈরি হয় ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স। ছোট-ছোট কারণে মানসিক চাপ বাড়তে থাকে।

পিসিওডি ও পিসিওএস-এর সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার মাত্র দু’টো উপায় রয়েছে। এক, ওজন কমানো এবং দ্বিতীয়টি হল হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা। আর এগুলোকে বশে রাখার সহজ উপায় হল সুষম আহার এবং যোগব্যায়াম। তবে সুষম আহারের অর্থ স্ট্রিক্ট ডায়েট মেনে চলা নয়। বরং ব্যালান্স্ড ডায়েটের মাধ্যমে ওজন কমানো। এই ক্ষেত্রে কয়েকটা ছোট-ছোট বিষয় মাথায় রাখলেই আপনি পিসিওএস ও পিসিওডি-এর উপসর্গগুলোকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

১. কোনওভাবেই মিল স্কিপ করা চলবে না। বিশেষত ব্রেকফাস্ট। ডায়েটে যেন কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, গুড ফ্যাট ও মরশুমি ফল অবশ্যই থাকে।

২. সারাদিনের ক্যালোরি কাউন্ট কমাতে হবে। প্রয়োজনীয় ক্যালোরির থেকে কম ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। আবার এতে প্রোটিনের চাহিদাও যেন পূরণ হবে, সেটাও মাথায় রাখতে হবে।

৩. ভাজাভুজি খাবার যতটা সম্ভব কম খেতে হবে।

৪. প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খেতে হবে।

৫. আমন্ড, আখরোট ইত্যাদি গুড ফ্যাটযুক্ত বাদাম খেতে হবে।

৬. চিনি , মিষ্টি গুড় ও মধু জাতীয় জিনিস খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হবে।

৭. প্রতিদিন একটা-দু’টো কিউব ডার্ক চকোলেট হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। কারণ ডার্ক চকোলেটে পলিফেনলের পরিমাণ বেশি।

৮. পিসিওডি-তে আক্রান্ত হলে ঋতুস্রাবের সময় হেভি ব্লিডিং হয়, যার ফলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি দেখা যায়। এতে অ্যানিমিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তা-ই আয়রন, ভিটামিন সি যুক্ত খাবার বেশি খেতে হবে।

৯. ডায়েটে রাখতে হবে নাটস, শাকসবজি, হোল গ্রেন সিরিয়ালস কারণ এগুলোয় আছে প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম, যা হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে।

১০. দারুচিনি ও হলুদের মধ্যে থাকা কারকিউমিন ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের উপর প্রভাব ফেলে।

১১. পাশাপাশি যোগব্যায়াম করুন। পবনমুক্তাসন, ভেকাসন, ভুজঙ্গাসন, নৌকাসন ইত্যাদি ও সূর্য নমস্কারের নিয়মিত অভ্যাস এই সমস্যা থেকে অনেকটাই মুক্তি দিতে পারে।