Health News: সন্তানের ভুলে যাওয়ার রোগ, নতুন কিছু শিখতেও অনেক সময় লাগে? এই জিনিসটি খাওয়ার অভ্যাস নেই তো?
Chewing Gum: শুনতে অবাক লাগলেও এমনি তথ্য উঠে আসছে সাম্প্রতিকতম গবেষণায়। বিশেষজ্ঞদের মতে চুইং গামে থাকে মাইক্রোপ্লাস্টিক। যা আমাদের মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

চুইং গাম খাওয়াটা আমাদের অনেকের রোজের অভ্যাস। কেউ খায় মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে, কেউ আবার মনোযোগ বাড়ানোর আশায়। এমনকি খেলোয়াড়দেরও টেনশন কাটাতে চুইং গাম চিবোতে দেখা যায়। কেউ আবার ভাল লাগে বলেই চুইংগাম চিবোয়। কিন্তু এই অভ্যাসেই বাড়ছে চিন্তা। গবেষণা বলছে প্রতিদিন কিছু না ভেবেই চুইংগাম চিবোনো এতটাই ভয়ানক হয়ে উঠছে যে তা মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে আপনার মস্তিষ্কেও।
শুনতে অবাক লাগলেও এমনি তথ্য উঠে আসছে সাম্প্রতিকতম গবেষণায়। বিশেষজ্ঞদের মতে চুইং গামে থাকে মাইক্রোপ্লাস্টিক। যা আমাদের মস্তিষ্কের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
সুইডেনের স্টকহোম ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীদের করা একটি গবেষণা অনুসারে, বেশিরভাগ চুইং গামে প্লাস্টিকজাত উপাদান থাকে। ওই উপাদান চুইং গামকে নমনীয় রাখতে এবং দীর্ঘদিন ধরে সংরক্ষণযোগ্য করে তুলতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ব্যবহার করা হয়। গবেষণায় দেখা গেছে, এই চুইং গাম চিবোনোর সময় প্রায় ১০ লক্ষাধিক মাইক্রোপ্লাস্টিক কণিকা মুখে প্রবেশ করতে পারে। যা পরবর্তীতে পাকস্থলী হয়ে আমাদের রক্তে মিশে যেতে পারে।
এই মাইক্রোপ্লাস্টিক কণিকাগুলি শরীরের নানা অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে গিয়ে জমা হয়। একই ভাবে তা গিয়ে জমে মস্তিষ্কে। ফলে সময়ের সঙ্গে এটি স্নায়ুকোষেও প্রভাব ফেলতে পারে।
গবেষকরা এই গবেষণা করার সময় ইঁদুরের ওপর এর প্রভাব লক্ষ করেন। সেখানে দেখা যায়, মাইক্রোপ্লাস্টিকের সংস্পর্শে এলে স্মৃতিশক্তি ও শেখার ক্ষমতা কমে আসে। ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের উর্বরতা কমে আসে।
তাঁরা আরও জানান, মাইক্রোপ্লাস্টিক শুধু চুইং গামেই নয়, বিভিন্ন প্রসাধনী দ্রব্য, বোতলজাত পানি ও খাবারের মোড়কেও থাকে। তবে চুইং গামের ক্ষেত্রে সমস্যাটি আরও গুরুতর, কারণ এটি সরাসরি আমরা মুখের মধ্যে দিয়ে চিবোই। ফলে দ্রুত আমাদের লালারসের সঙ্গে মিশে শরীরের ছড়িয়ে পড়ার সুযোগ পায়।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, এই বিপদ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হল চুইং গাম খাওয়ার অভ্যাস কমানো। বিশেষ করে শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের জন্য এই অভ্যাস ত্যাগ করাটা বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি অন্য কোনও পণ্য থেকে প্লাস্টিক বা মাইক্রোপ্লাস্টিক জাতীয় উপাদান আপনার শরীরে যাচ্ছে কিনা সেই বিষয়েও খেয়াল রাখতে হবে।





