AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Paracetamol: জ্বর হলেই প্যারাসিটামল খাচ্ছেন? ভাল না খারাপ, সেটা জানেন?

Paracetamol: প্রথমে বলা ভাল, জ্বরকে অনেকেই রোগ ভেবে ভুল করেন। কিন্তু আদপে তা নয়। এটি একপ্রকার রোগের লক্ষণ। শরীরে কোনও সংক্রমণ হলে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং তার ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এই অবস্থায় অনেকেই জ্বর কমাতে দ্রুত প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলেন। কিন্তু প্রশ্ন হল—জ্বর হলেই কি প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত? এর প্রভাবই বা কী?

Paracetamol: জ্বর হলেই প্যারাসিটামল খাচ্ছেন? ভাল না খারাপ, সেটা জানেন?
| Updated on: Jul 31, 2025 | 4:40 PM
Share

জ্বর হলেই টুক করে একটা প্যারাসিটামল বার করলেন আর খেয়ে নিলেন। একটু মাথাব্যথা করছে, খেয়ে নিলেন প্যারাসিটামল। গা ম্যাচম্যাচ করছে সেই প্যারাসিটামল। কিন্তু এই অভ্যাস কি আদৌ ভাল? কথায় কথায় প্যারাসিটামল খেলে কী হয়? কী মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা?

প্রথমে বলা ভাল, জ্বরকে অনেকেই রোগ ভেবে ভুল করেন। কিন্তু আদপে তা নয়। এটি একপ্রকার রোগের লক্ষণ। শরীরে কোনও সংক্রমণ হলে শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা সক্রিয় হয়ে ওঠে এবং তার ফলে শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এই অবস্থায় অনেকেই জ্বর কমাতে দ্রুত প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলেন। কিন্তু প্রশ্ন হল—জ্বর হলেই কি প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত? এর প্রভাবই বা কী?

প্যারাসিটামল কীভাবে কাজ করে?

প্যারাসিটামল (Paracetamol), যাকে অ্যাসিটামিনোফেনও (Acetaminophen) বলা হয়, একটি অ্যানালজেসিক ও অ্যান্টিপাইরেটিক ওষুধ। অর্থাৎ এটি ব্যথা ও জ্বর দুটিই কমাতে সাহায্য করে। এটি মস্তিষ্কে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণকারী কেন্দ্রে প্রভাব ফেলে ও শরীরের তাপমাত্রা কমায়।

প্যারাসিটামল কখন খাওয়া উচিত?

সব জ্বরে প্যারাসিটামল খাওয়া উচিত নয়। যদি জ্বর ১০১°F (৩৮.৩°C) এর নিচে থাকে এবং শরীরে বিশেষ কোনো অস্বস্তি না থাকে, তবে ওষুধ না খেয়ে বিশ্রাম ও জলপান করাই ভাল। শরীর বেশি গরম হয়ে গেলে ঠান্ডা জল দিয়ে শরীর মুছে নেওয়া বা স্নান করাও কার্যকর হতে পারে বলে মত চিকিৎসকদের।

যদি জ্বরের সঙ্গে মাথাব্যথা, শরীরব্যথা, দুর্বলতা বেশি থাকে, কিংবা জ্বর ১০২°F ছাড়ায়, তখন প্যারাসিটামল নেওয়া যেতে পারে।

প্যারাসিটামল এমনিতে খুব দ্রুত জ্বর ও ব্যথা কমায়। শিশু, বয়স্ক ও গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রেও নির্দিষ্ট মাত্রায় তা খাওয়া নিরাপদ। যথাযথ ডোজে খেলে লিভার ও কিডনির ওপর কম চাপ ফেলে।

অতিরিক্ত খেলে কী ক্ষতি হতে পারে?

দৈনিক ৩-৪ গ্রাম-এর বেশি খেলেই লিভারের ক্ষতি হতে পারে। বমি বমি ভাব, পেটব্যথা, দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে হেপাটিক ফেইলিওর (লিভার ফেলিওর) পর্যন্ত হতে পারে, যা প্রাণঘাতীও হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে অনিয়ন্ত্রিতভাবে প্যারাসিটামল খাওয়া কিডনির উপরও চাপ ফেলে। তাই খাওয়ার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।