Sugar: বেশি মিষ্টি খেলে কি শুধু সুগার হয়? নাকি আছে আরও বড় কোনও বিপদ?
Health Tips: হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে স্থূলতার সম্ভাবনা মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে। এই ধরনের খাবারে সাধারণত উচ্চমাত্রার চিনি, ট্রান্স বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং সোডিয়াম থাকে, যা নানান ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। তাহলে মিষ্টি খাওয়াই যাবে না?

মিষ্টির কথা হবে আর বাঙালির কথা উঠবে না সেটা কখনও হয় নাকি? তবে অতিরিক্ত মিষ্টি শরীরের জন্য মোটেও বাল নয়। হৃদরোগের ঝুঁকি থেকে স্থূলতার সম্ভাবনা মারাত্মকভাবে বাড়িয়ে দিতে পারে। এই ধরনের খাবারে সাধারণত উচ্চমাত্রার চিনি, ট্রান্স বা স্যাচুরেটেড ফ্যাট এবং সোডিয়াম থাকে, যা নানান ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। তাহলে মিষ্টি খাওয়াই যাবে না?
না, তা নয়। বরং নির্দিষ্ট পরিমাণে খেলে সবই ভাল। আসলে মিষ্টি বা ভাজা জাতীয় খাবারে সাধারণত ক্যালোরির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে, অথচ পুষ্টিগুণ একেবারেই কম। নিয়মিত এই ধরনের খাবার খাওয়া মানে অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণ, যা ওজন বৃদ্ধি এবং শেষ পর্যন্ত স্থূলতার দিকে নিয়ে যায়। স্থূলতা আবার হৃদরোগ আর ডায়াবেটিস সহ নানা রোগের একটি বড় কারণ। স্থূলতার পাশাপাশি, অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার কারণে আরও অনেক গুরুতর রোগের ঝুঁকি থাকে, যা সম্পর্কে সতর্ক থাকা জরুরি।
চিনি: অতিরিক্ত চিনি ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স বাড়ায়, ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বাড়ায়, ভাল কোলেস্টেরল (HDL) কমায় এবং রক্তচাপ বাড়ায়। এসব কারণ দীর্ঘমেয়াদে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ এবং ধমনীতে প্লাক জমতে পারে যা হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের দিকে নিয়ে যায়।
অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট: ভাজা খাবারে সাধারণত ব্যবহৃত তেলের উপর নির্ভর করে ট্রান্স ফ্যাট ও স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। অতিরিক্ত খেলে এগুলো খারাপ কোলেস্টেরল (LDL) বাড়ায় এবং ধীরে ধীরে ধমনীগুলো শক্ত ও সরু করে ফেলে।
সোডিয়াম: অনেক প্রসেসড খাবারে উচ্চমাত্রার লবণ থাকে, যা রক্তচাপ বাড়ায়, হৃদযন্ত্রে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে এবং ধমনীর দেয়ালে ক্ষতির ঝুঁকি বাড়ায়।
লাইফস্টাইল ডিজিজ: এখন টাইপ-২ ডায়াবেটিস ও ফ্যাটি লিভারের মতো রোগ শিশুদের মধ্যেও দেখা যাচ্ছে, যা এই ধরনের খাবার বেশি খাওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত।
বিঞ্জ ইটিং: এই ধরনের খাবার বিঞ্জ-ইটিং ডিসঅর্ডারের অংশ হতে পারে, যা অতিরিক্ত ওজন, ট্রান্স ফ্যাট, চিনি ও সোডিয়ামের কারণে হৃদযন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর।
বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ এই ধরনের খাবার কমিয়ে ফল ও বাদামের মতো স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া উচিত। পাশাপাশি সচেতনভাবে খাওয়া, পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ, এবং ফাইবার ও প্রোটিনসমৃদ্ধ সম্পূর্ণ খাবারের সুষম ডায়েট মেনে চলা সুস্থ ওজন ও শক্তিশালী হৃদযন্ত্রের জন্য জরুরি।
