বর্তমানে ছোট থেকে বড়, কম-বেশি সকলের শরীরেই ভিটামিনের ঘাটতি দেখা যায়। বিশেষত, ভিটামিন-সি, ডি এবং বি১২ -এর ঘাটতি প্রকটভাবে দেখা দেয়। এই ঘাটতি পূরণ করতে অনেকেই সাপ্লিমেন্ট মাল্টিভিটামিন ওষুধ নিয়মিত খান। অনেকে পরীক্ষা না করে, ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ওষুধ খাওয়া শুরু করেন। কিন্তু জানেন কি, এতে আপনার স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে? অপ্রয়োজনীয় এবং অতিরিক্ত মাল্টিভিটামিন গ্রহণের ফলেও অনেক রোগও হতে পারে।
চিকিৎসকদের মতে, মাল্টিভিটামিন খাবার থেকে প্রাপ্ত পুষ্টি প্রতিস্থাপন করতে পারে না। কেউ যদি শরীরে ভিটামিনের সঠিক পরিমাণ বজায় রাখতে চান, তাহলে প্রোটিন এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উচিত। এমন নয় যে, পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার না খেয়ে কেবল মাল্টিভিটামিন খেলেই স্বাস্থ্য ভাল থাকবে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এগুলি খাওয়া উচিত নয়।
একজনের কি প্রতিদিন মাল্টিভিটামিন গ্রহণ করা উচিত?
বিশিষ্ট চিকিৎসকের মতে, মাল্টিভিটামিন গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা শরীরে ভিটামিনের ঘাটতির উপর নির্ভর করে। যদি হাড়ে ব্যথা, পেশিতে ব্যথা, অনিদ্রা, কোনও কাজ না করার আগ্রহ এবং দুর্বলতা অনুভব করেন, তাহলে এটা শরীরে ভিটামিন বি১২ ও ভিটামিন-ডি এর অভাবের লক্ষণ। এই লক্ষণগুলি দেখা দিলে মাল্টিভিটামিন নেওয়ার আগে শরীরের ভিটামিন পরীক্ষা করুন।
ভিটামিনের অভাব দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যদি ডাক্তার মাল্টিভিটামিন খান। নিজের ইচ্ছায় ভিটামিন ডোজ নেবেন না। ডাক্তারের দেওয়া নির্ধারিত ডোজ নিন। অতিরিক্ত মাল্টিভিটামিন খেলে সমস্যা হতে পারে।
মাল্টিভিটামিন ওভারডোজের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া
বিশেষজ্ঞের মতে, মাল্টিভিটামিনের মাত্রাতিরিক্ত ডোজ কিডনি এবং লিভার উভয়কেই প্রভাবিত করে। এর ফলে কিডনি ফেইলিউর এবং লিভার সংক্রান্ত অনেক রোগের ঝুঁকি বাড়ে।
মাল্টিভিটামিনের বদলে এগুলি খান
বিশিষ্ট চিকিৎসতেক মতে, আপনি যদি মনে করেন শরীরে ভিটামিনে অভাব হয়েছে, তাহলে ডায়েট ভাল করুন। খাদ্যতালিকায় পনির, দুধ, দই, ডাল, সবুজ শাকসবজি এবং ডিম রাখুন। এই খাবারগুলিতে ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি১২ এবং আরও অনেক ভিটামিন রয়েছে। এগুলি খেলে শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।