Health Tips: পিঠ ও কাঁধের ব্যথা শুধু বসার ভুলেই নয়! লুকিয়ে আরও তিন কারণ…
Back and neck pain causes: একটা ধারনা প্রত্যেকের মধ্যেই থাকে, শারীরীক পরিশ্রমের মধ্যে না থাকলে এই ব্যথা হওয়াটাই স্বাভাবিক। শুধুই কি বডি পশ্চার বা বসার ধরনের কারণেই কাঁধে কিংবা পিঠে ব্যথা হয়ে থাকে? থাকতে পারে অন্য কারণও।

গলার পেছনে, কাঁধে বা পিঠে ব্যথা এখন যেন নিত্যদিনের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। যাঁরা এক্সারসাইজ করেন, তাঁদের অবশ্য় এই সম্ভাবনা কিছুটা কম। ব্যস্ততা এবং সময় বের করতে না পারা কিংবা স্রেফ অনীহার কারণে অনেকেই নিয়মিত এক্সারসাইজ করেন না। প্রত্যেকের কাজের ধরনও আলাদা। পেশাগত জীবনের প্রভাব পড়ে দৈনন্দিন জীবনযাত্রায়। মানসিক এবং শারীরীক ধকল। অনেকে আবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কাজ করেন। একটা ধারনা প্রত্যেকের মধ্যেই থাকে, শারীরীক পরিশ্রমের মধ্যে না থাকলে এই ব্যথা হওয়াটাই স্বাভাবিক। শুধুই কি বডি পশ্চার বা বসার ধরনের কারণেই কাঁধে কিংবা পিঠে ব্যথা হয়ে থাকে? থাকতে পারে অন্য কারণও। চলুন জেনে নেওয়া যাক…।
সর্বোদয় হাসপাতালের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান ডাঃ অঞ্চিত উপ্পল এর নানা কারণ জানিয়েছেন। নিয়মিত কাঁধ ও পিঠের ব্যথা হালকা ভাবে না নেওয়াই শ্রেয়। শরীরের ভারসাম্য়ের উপর বড় রকমের প্রভাব ফেলতে পারে। স্পাইনাল কর্ডে টান ধরলে পুরো শরীরের পশ্চারেই সমস্যা হতে পারে। এর ফলে ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, মনসংযোগে ঘাটতি এবং ঘুমের সমস্যাও হতে পারে। এই ব্যথার কারণে একটা সহজ কাজও কঠিন মনে হতে পারে।
কাঁধ ও পিঠের ব্যথার নেপথ্যে যে আরও তিনটি কারণ থাকতে পারে, সে কথাই জানিয়েছেন চিকিৎসক।
অনিয়মিত ঘুম-শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে মাংসপেশীতে এর প্রভাব পড়ে। রিকোভারির সময় মেলে না। রাত-ভর এপিঠ-ওপিঠ করতে থাকেন। কিন্তু পর্যাপ্ত এবং ভালো ঘুমের অভাব। এর ফলে মেরুদন্ড দুর্বল হয়ে পড়ে। যে কারণে কাঁধ এবং পিঠে বাড়তি চাপ পড়ে এবং অসহ্য যন্ত্রণা হয়। যা নিয়মিত হয়ে দাঁড়াতে পারে।
পুষ্টির অভাব-ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি, ম্যাগনেশিয়ামের মতো উপাদান পেশী সুস্থ-সবল রাখতে খুবই জরুরি। এর অভাবে পেশিতে টান ধরে, ব্যথা হওয়াটাও স্বাভাবিক। অনিয়মিত খাওয়া-দাওয়া সমস্যা বাড়ায়। এর থেকে বাঁচার উপায়?
চিকিৎসকের মতে-
- দিনে অন্তত ৩০-৪০ মিনিট পর পর শরীরে পশ্চার ঠিক করা উচিত। দীর্ঘ সময় বসে কিংবা দাঁড়িয়ে অর্থাৎ একই পজিশনে না থাকাই শ্রেয়।
- স্ট্রেস কমানোর জন্য় মেডিটেশন, যোগাসন, ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করা যেতেই পারে।
- অন্তত ৭-৮ ঘণ্টার গভীর ঘুম প্রয়োজন। এটা করতে ভুলবেন না।
- ডায়েটে রাখুন এমন খাবার যাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্য়ালসিয়াম ও ভিটামিন ডি থাকে।
- সমস্যা না মিটলে অবশ্যই ফিজিওথেরাপিস্টের সাহায্য নেওয়া উচিত। নিয়মিত চলতে থাকলে সমস্যা ক্রমশ বাড়বেই।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য জানানো। কোনও রকম সমস্যা কিংবা দ্বিধা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
