সাম্প্রতিক কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, দু’টি সন্তান আছে এমন পিতা-মাতা দীর্ঘদিন বাঁচেন! ১৯১১ থেকে ১৯২৫ সালের মধ্যে জন্ম নেওয়া পুরুষ ও মহিলা ও তাঁদের ছেলেমেয়েদের মধ্যে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে অদ্ভুত তথ্য। পুত্র, কন্যারা সাহায্য করার কারণে বাবা-মায়েরা নানাবিধ সমস্যার মোকাবিলা সহজে করেছেন। ফলে বেড়েছে তাঁদের আয়ুষ্কাল। অন্য এক সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, একখানি সন্তান আছেন এমন মায়ের তুলনায় বেশি বাঁচেন নিজে জন্ম দিয়েছেন এমন দুই সন্তানের মা! ওই একই সমীক্ষায় বাবার আয়ু বৃদ্ধিতে সন্তানের ভূমিকা থাকার প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন: গ্রীষ্মে নগ্ন হয়ে ঘুমোচ্ছেন? তাহলে সতর্ক হোন এখনই…
এবার সন্তান দত্তক নিলেও কী হয় দেখা যাক! আশ্চর্যজনকভাবে সেখানেও ফলাফল একইরকম! যে সকল মহিলা একাধিক সন্তান দত্তক নেন, তাদের আয়ু এক সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এমন মায়ের তুলনায় বেশি হয়। দত্তক নেওয়া অভিভাবকদের আয়ুষ্কালের মধ্যে সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ৪টি কিংবা ১টি বাচ্চাকে দত্তক নিয়েছেন এমন বাবা-মায়ের তুলনায় দু’টি বাচ্চাকে দত্তক নিয়েছেন এমন বাচ্চার অভিভাবকরা বেশিদিন বাঁচেন।
আরও একটি অবাক করা তথ্য হল, একটি বাচ্চাকে দত্তক নিলে মায়ের জীবনে আরও তিনটি বছর যোগ হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। দু’টি অথবা তিনটি বাচ্চা দত্তক নিলে যোগ হতে পারে আরও ৫ বছর! তথ্যগুলি দত্তক নেওয়ার ক্ষেত্রে দম্পতিদের উৎসাহিত করবে বলেই মনে হয়। এমনকী ভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশ থেকে উঠে আসা বাচ্চাকে দত্তক নিলে অভিভাবকের আয়ু বাড়ার সম্ভাবনা থাকে আরও বেশি! কারণ দেখা গিয়েছে, যে সমস্ত বাবা-মা অন্য দেশের বাচ্চাকে দত্তক নিয়েছে, তাঁদের আয়ু দেশের বাচ্চাকে দত্তক নেওয়া অভিভাবকের তুলনায় বেশি!