বৈশাখ শুরুর আগেই তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরিয়ে গিয়েছে। বেলার দিকে রাস্তায় বেরোনো দায় হয়ে পড়ছে। যত দিন যাবে, এই গরম আরও বাড়তে থাকবে। তাই এখন থেকেই স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা জরুরি। গরমে সাধারণত হাইড্রেশনের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়। কিন্তু নিজেকে হাইড্রেটেড রাখতে গিয়ে রাস্তার ধারে বা যেখানে-সেখানের কল থেকে জল ধরে খেলেই মুশকিল। কারণ এমন ছোট্ট ভুলই আমাশয়ের মতো সমস্যা ডেকে আনে। অপরিষ্কার জল কিংবা খাওয়া দাওয়ার গণ্ডগোলের জন্য পেট খারাপ বা আমাশয় হয়। আবার অনেক সময় ভাইরাল ফিভার, সংক্রমণ, ফুড পয়জনিং এবং আরও অন্যান্য কারণে পেট খারাপ হতে পারে। পেটে বারবার মোচড় দিতে থাকে। আর তার সঙ্গে পাতলা পায়খানা হতে থাকে। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে পরামর্শ নেওয়া জরুরি। তবে, প্রাথমিকভাবে আপনি ঘরোয়া উপায়েও পেট খারাপের অবস্থাকে সামাল দিতে পারেন।
হাইড্রেটেড থাকুন- ঘন ঘন পায়খানা, বমি হওয়ার ফলে শরীর থেকে জল বেরিয়ে যায়। এই সময় প্রচুর পরিমাণে জল পান করতে হয়। শরীর যদি একবার জলশূন্য হয়ে যায়, তাহলেই বিপদ। তাই প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। প্রয়োজনে নুন ও চিনি দিয়ে জল পান করতে পারেন। ORS-এর জলও পান করতে পারেন।
গরম জলে আদা খান- গরম জলে এক চিমটে আদা গুঁড়ো কিংবা আদার কুচি মিশিয়ে নিন। এতে অল্প পরিমাণে চিনি মিশিয়ে পান করুন। এই উপায়ে আপনি লুজ মোশন বন্ধ করতে পারবেন।
দই-ভাত খান- পেট খারাপ হলে খাওয়ার রুচি চলে যায়। মুখে কোনও খাবারের স্বাদ লাগে না। এমনকী খাবার খেতেও ইচ্ছা হয় না। সেক্ষেত্রে আপনি দই-ভাত খেতে পারেন। গরম দই-ভাত দারুণ উপকারী। টক দইয়ের মধ্যে প্রোবায়োটিক রয়েছে। এটি অন্ত্রের ভাল ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
কলা, ঘি ও এলাচ- দুটো বা একটা কলা ম্যাশ করে নিন। এতে অল্প ঘি, এক চিমটে এলাচ গুঁড়ো এবং এক চিমটে জায়ফল গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি খেলে আপনার লুজ মোশন বন্ধ হয়ে যাবে। এই খাবারের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা পেট খারাপের সমস্যা দূর করতে কার্যকর।
ব্ল্যাক টি পান করতে পারেন- পেট খারাপ হলে আপনি লিকার চা পান করতে পারেন। ভাল ফলাফল পেতে আপনি চায়ের মধ্যে লেবুর রস এবং এলাচ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। এতেও আপনার পেট খারাপের সমস্যা দূর হয়ে যাবে।