Women Heart Problem: কম বয়সী মহিলাদের মধ্যে বাড়ছে হৃদরোগের সম্ভাবনা! দাবি নয়া সমীক্ষায়
Young Adult Women: আজকাল ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে ধূমপানের ( Smoking) সংখ্যা বেশি। অতিরিক্ত ধূমপান যেমন ওজন বৃদ্ধির (smoking and weight gain) কারণ তেমনই ডেকে আনছে হার্টের সমস্যাও...
কয়েক বছর ধরেই বাড়ছে হৃদরোগে আক্রান্তের সংখ্যা। আজকাল কমবয়সীরাই অনেক বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন হৃদরোগে। ইদানিংকালে ৩৫ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে জটিল হচ্ছে এই হৃদরোগের সম্ভাবনা। সম্প্রতি সমীক্ষা বলছে আজকাল পুরুষদের তুলনায় প্রায় ৪৪ শতাংশ বেশি মহিলা এই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। মূলত কমবয়সী মহিলাদের মধ্যেই সেই সমস্যা বেশি। মহিলাদের ক্ষেত্রে ব্রেন স্ট্রোকের সমস্যা বেড়েছে আগের তুলনায় অনেকটাই। মস্তিষ্কে রক্ত সঞ্চালন কম হলেই এই ধরনের স্ট্রোকের সম্ভাবনা থেকে যায়। চিকিৎসা পরিভাষায় যা ইস্কেমিক স্ট্রোক নামে পরিচিত। মস্তিষ্কে রক্তসরবরাহকারী ধমনী বাধা পেলেই এইরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়।
এই গবেষণায় ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের উপরই করা হয়েছিল। ৩৫ বছর বয়সী বা তার কম বয়স পর্যন্ত মহিলাদের মধ্যেই এই ইস্কেমিক স্ট্রোকে আক্রান্তের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। যাঁদের উচ্চরক্তচাপের সমস্যা থাকে, ডায়াবিটিসের মত সমস্যা থাকে তাদের ক্ষেত্রে এই ডায়াবিটিসে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা কিন্তু সবচেয়ে বেশি। যাদের রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি তাঁদের মধ্যে এই স্ট্রোকের সম্ভাবনাও কিন্তু আগের তুলনায় বেড়েছে।
কারণ হিসেবে উঠে আসছে ধূমপান। ইদানিং ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেড়েছে। বেড়েছে মদ্যপানও। মদ্যপান, ধূমপানের কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ার মত সমস্যাও আসে। এছাড়াও ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মানসিক চাপ অনেকটাই বেশি। সব মিলিয়ে মেয়েদের মধ্যে কিন্তু বাড়ে হার্ট অ্যার্টাকের প্রবণতা। এর সঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন হরমোনগত সমস্যাও। আজকাল বেশিরভাগ মেয়ে পিসিওএস বা পিসিওডির মত সমস্যায় ভুগছেন। যে কারণে শরীরের স্ত্রী হরমোনগুলো ঠিক মত কাজ করে না। ফলে মাসিকের সমস্যা, ওজন বেড়ে যাওয়া, ত্বকের সমস্যা, হজমের সমস্যা এসব তো থাকেই। সেই সঙ্গে বাড়ে হৃদরোগের সমস্যাও। দীর্ঘদিন ধরে এই হরমোনের ওষুধ খেলে হার্টের উপর চাপ পড়ে। পরবর্তীতে এখান থেকেও আসে হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনাও। তাই আজকাল প্রথম থেকেই কিন্তু সকলকে সচেতন থাকতে হবে। পুষ্টিকর খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার যাবতীয় চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। নিয়মিত শরীরচর্চাও কিন্তু জরুরি। ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খান। প্রোটিন বেশি খান। কার্বোহাইড্রেট যতটা সম্ভব বাদ দিন তালিকা থেকে।
পর্যাপ্ত ঘুমও কিন্তু প্রয়োজন। অনিয়মিত ঘুমের সমস্যাও ডেকে আনে হৃদরোগের সম্ভাবনা। চিন্তামুক্ত ভাবে ৬-৭ ঘন্টা দিন ভীষণ জরুরি। তবে কোনও শারীরিক সমস্যা হলে কিন্তু অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Story Of A Brave Mum: জন্মের কয়েক ঘন্টা আগেই মৃত্যু সন্তানের! শোকভুলে স্তন্যদান অসুস্থ শিশুদের