AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Story Of A Brave Mum: জন্মের কয়েক ঘন্টা আগেই মৃত্যু সন্তানের! শোকভুলে স্তন্যদান অসুস্থ শিশুদের

Breast Milk: মৃত সন্তানের স্মৃতিতেই তাঁর স্তন্য দান (Donating Breast Milk)করার ভাবনা করেন অসুস্থ রুগ্ন শিশুদের (Sick Babies)। যারা মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্ছিত

Story Of A Brave Mum: জন্মের কয়েক ঘন্টা আগেই মৃত্যু সন্তানের! শোকভুলে স্তন্যদান অসুস্থ শিশুদের
পরিবারের সঙ্গে সারাহ
| Edited By: | Updated on: Feb 23, 2022 | 3:54 PM
Share

মায়েরা এমনই হন। শত কষ্টের মুখেও শুধুমাত্র সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে তাঁরা নিজেদের উজাড় করে দিতে পারেন। জন্মের মাত্র ১০ ঘন্টা আগেই মৃত্যু হয় গর্ভস্থ সন্তানের। তবুও মৃত পুত্রের জন্ম দেওয়ার পরও তিনি ৫০ পিন্ট স্তন্যদুগ্ধ দান করেন অসুস্থ শিশুদের জন্য।

জর্জিয়ার বাসিন্দা সারাহ ল্যাম্পলি, গর্ভাবস্থার ৩৮ তম সপ্তাহে এসে তিনি অনুভব করেন তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা হচ্ছে। যে নির্দিষ্ট দিনে তাঁর সন্তানের জন্ম দেওয়ার কথা ছিল তার ঠিক ১০ দিন আগেই গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যু হয়। সারহার আরও দুই পুত্র সন্তান রয়েছে। সেদিন আচমকা অসুস্থ বোধ করায় তাঁকে যখন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখনই তিনি অনুভব করেন তাঁর শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে রক্তপাত হচ্ছে। ২৪ ঘন্টা ঘরে ক্রমাগত রক্তপাতের ফলে ক্রমশ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। এরপরই অপারেশনের মাধ্যমে তিনি সন্তানের জন্ম দেন। চিকিৎসকরা সারাহকে জানিয়েছেন, তাঁর ছেলেই তাঁকে প্রাণে বাঁচিয়ে দিয়েছে। গর্ভস্থ ভ্রূণের অবস্থানের কারণেই শরীরে রক্ত জনাট বাঁধতে পারেনি। আর যে কারণেই দীর্ঘসময় রক্তপাতের পরও তাঁকে বাঁচানো সম্ভব হয়েছে।

সারাহ এবং লুইস তাঁদের পুত্রসন্তানের নাম রেখেছেন লেজেন্ড (Legend)। হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর ৩৪ বছরের সারাহ বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিলেন। অর্থাৎ মাতৃত্ব পরবর্তী সময়ে মায়েদের যে সব শারীরিক পরিবর্তন হয়। আর এই পরিবর্তনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া তাঁর জন্য ভীষণ কষ্টদায়ক ছিল। প্রতিদিন তাঁকে স্বাভাবিক নিয়মেই Breast milk ফেলে দিতে হচ্ছিল। এরপরই কিন্তু তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন। মৃত সন্তানের স্মৃতিতেই তাঁর স্তন্য দান করার ভাবনা করেন অসুস্থ রুগ্ন শিশুদের। যারা মাতৃদুগ্ধ থেকে বঞ্ছিত। সারাহ জানান, ‘ওই কয়েকদিন আমাকে ভীষণ কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। বুকের দুধ নষ্ট হোক আমি কোনও ভাবেই তা চাইনি। হাসপাতালে থাকাকালীন প্রচুর মানুষ আমাকে রক্ত দিয়েছিলেন। তাঁদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আর তাই আমি তাঁদেরই অনুরোধ করি এলাকার ( অ্যালাবামা) বেশ কয়েকটি Mother’s Milk Bank- এ সেই দুধ পৌঁছে দেওয়ার জন্য’।

১৪ সপ্তাহের মধ্যে 800oz মাতৃদুগ্ধ সারাহ তুলে দেন সেই ব্যাঙ্কের হাতে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষার পরই তা পৌঁছে যায় শিশুদের কাছে। সারহার কথায়- ‘এটা আমার ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ মাত্র। আমার সান্ত্বনা এর মধ্যে দিয়েই বেঁচে থাকবে আমার ছোট্ট লেজেন্ড’।

সারাহ-র স্বামী লুইস চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণার সঙ্গে যুক্ত। প্রাথমিক ভাবে তাঁরও মনে হয়েছিল কাজটি তাঁর স্ত্রীয়ের পক্ষে মানসিক ভাবে বেশ কঠিন হবে। কিন্তু পরে তিনি বুঝতে পারেন এভাবে কত মানুষের উপকার করলেন তাঁর স্ত্রী। স্বামীর পাশাপাশি তাঁর দুই সন্তানও কিন্তু এই পদক্ষেপে খুব খুশি। তারা যখন দুধ সংগ্রহের প্রক্রিয়া দেখেছিল তখন প্রশ্ন করেছিল- ‘এটা কার জন্য’। মায়ের উত্তরে তারা খুব খুশি হয় এবং প্রশংসা করে বলে- ‘ভাল কাজ মা’।