Morning Habits: সকালের এই সব বদ অভ্যাস এখনই ছাড়ুন, সুস্থ থাকবেন
Morning Rituals: সকালের শুরুটা যদি নিয়ম মেনে করেন তাহলে কিন্তু সারা দিন ভাল কাটবে( Morning Health Tips)। সেই সঙ্গে শরীরও থাকবে সুস্থ।
কথায় বলে- ‘Morning shows the day’। সকাল থেকে আমরা যে ভাবে চলব সেভাবেই কাটবে সারাটা দিন। প্রত্যেকেরই কিছু নির্দিষ্ট রুটিন থাকে। কেউ ঘুম থেকে উঠে সূর্যপ্রণাম সারেন। আবার কেউ কেউ যান মর্নিং ওয়াকেও। এছাড়াও নিজের চাহিদা মতো ডিটক্স ড্রিংক খান অনেকেই। সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হলে এবং সময়মতো কাজ না হলে কিন্তু বাকি কাজে দেরি হয়ে যায়। গত দুবছরে অনেক রুটিনেই পরিবর্তন এসেছে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রয়োজনীয় কাজ সেরে অফিস যাওয়ার কোনও তাড়া নেই। কারণ অফিস এখন বাড়িতেই। কিন্তু এর ফলে বেশ কিছু অস্বাস্থ্যকর কিছু অভ্যাস যোগ হয়েছে আমাদের রোজদিনের রুটিনে। এই সব অভ্যাস একেবারেই ছেঁটে ফেলতে পারলে শরীর যেমন থাকবে সুস্থ তেমনই কিন্তু মনের দিক থেকেও ভাল থাকবেন। এতে ভাল থাকবে আপনার চারপাশের মানুষও।
ঘুম ভাঙলেই প্রথমে নজর যায় ফোনের দিকে। নতুন কোনও নোটিফিকেশন বা মেসেজের দিকেই চোখ প্রথম টানে। তারপর সোশ্যাল মিডিয়া তো আছেই। আর এতেই কিন্তু চাপ বাড়ে চোখের উপর। সেই সঙ্গে ঘুম কম হয়। সারাদিন মাথা ব্যথার মত সমস্যাও কিন্তু থাকতে পারে। কর্মক্ষমতাও কমে যায়। আর তাই ঘুম থেকে উঠে প্রথমে এক গ্লাস ইষদুষ্ণ জল খান। ফ্রেশ হয়ে কিছুক্ষণ খোলা জানালার পাশে বসুন বা বারান্দায় বসুন। সকালে অন্তত ২ ঘন্টা শুধুমাত্র নিজের জন্য রাখুন। এই সময়টা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে একেবারেই দূরে থাকুন। শরীরচর্চা অবশ্যই করবেন। সকালের চা কিংবা কফি উপভোগ করুন। প্রয়োজনীয় বই কিংবা সংবাদপত্র পড়ুন। এই সময়টা সম্পূর্ণ ভাবেই নিজেকে দিন।
ব্রেকফাস্ট কিন্তু কোনও ভাবেই বাদ দেবেন না। অনেকেই ঘুম থেকে দেরি করে ওঠেন এবং সোজা চা বা কফি খেয়ে লাঞ্চ করেন। এই অভ্যাস আমাদের শরীরের জন্য কিন্তু একেবারেই ভাল নয়। হজমের সমস্যা আসে। শরীরচর্চা সেরে স্বাস্থ্যকর কোনও ব্রেকফাস্ট খান। ওটস, স্যান্ডউইচ, স্যালাড, ফল, ডিম, ব্রেড টোস্ট- পছন্দের যে কোনও খাবার রাখুন।
সকালে উঠে পরিকল্পনা মাফিক কাজ করুন। আগের রাতেই সব ঠিক করে রাখুন। তাতে কাজ সময়ে হবে। এবং ঠিকমতো হবে। ধরা যাক এদিন নিজের কাজের বাইরেরও ফ্রিজ পরিষ্কার, গাছে জল দেওয়া এই সব কাজ করেছে। তাহলে অন্যান্য কাজও কিন্তু সেইমতো গুছিয়ে নেবেন।
স্নান সারতে দেরি করবেন না। বরং দিনের শুরুতেই আগে স্নান করে নিন। এতে শরীর-মন তাজা থাকবে। কাজে মন বসবে। আর হরমোনও সঠিক ভাবে কাজ করতে পারবে। হরমোন যদি ঠিক ভাবে কাজ করে তাহলে আমাদের কর্মক্ষমতা এবং এনার্জিও কিন্তু বাড়বে।
কোনও নেগেটিভিটি নিয়ে ঘুম থেকে উঠবেন না। বরং পজিটিভ কিছু ভাবুন। নিজেই নিজেকে উৎসাহ দিন। কিছু ভাল জিনিসের জন্য কিন্তু নিজের কাছেই কৃতজ্ঞ থাকুন। এছাড়াও যাঁরা আপনার চলার পথের সাথী তাঁদেরও কিন্তু ধন্যবাদ জানাতে ভুলবেন না।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Omicron Subvariant: কেন ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট BA.2 এত দ্রুত সংক্রমিত হচ্ছে?