বাইরে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সপ্তাহান্তে আরও বাড়বে। ৪১ ডিগ্রি হতে পরে। বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই বললেই চলে। ঘরের বাইরে বের হলেই গরম হাওয়া চোখেমুখে এসে লাগছে। বিশ্রী পরিস্থিতি। শীতটা চলে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। এই গরমে হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে এবং প্রিয়জনকে বাঁচাতে কী করবেন ঘুম থেকে উঠেই। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কিছু পানীয় পান করলেই কেল্লাফতে!
বাটার মিল্ট
সারাটাদিন শরীরটাকে তরতাজা রাখতে সকালেই খেতে পারেন বাটার মিল্ক। দুধ থেকে মাখন আলাদা করলে যেটা পরে থাকে সেটাকেই বাটার মিল্ক বলে। ফ্রিজে কিংবা ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে পান করুন একগ্লাস।
নারকেলের জল
বেলা ১০টা নাগাদ পান করুন ডাবের জল। এটি একটি ন্যাচারাল হেল্থ ড্রিঙ্ক। শরীরের আর্দ্রতা হারাতে দেয় না নারকেলের জল। শরীরের ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা ধরে রাখতে সাহায্য করে। ক্লান্তি দূর করে। প্রচুর এনার্জি দেয়।
লেবুর জল
সকালে ঘুম থেকে উঠেই এক গ্লাস জলে পাতি লেবু চিপে খেয়ে নিন। এতে শরীরের আর্দ্রতা হারাবে না। হজমশক্তি বাড়বে এবং ওজনও কমবে। ভিটামিন সি-তে পরিপূর্ণ লেবুর জল। শরীরের ফোলা ভাবটাও কমে যেতে পারে।
ছাতুর শরবত
এই গরমে রোজ সকালে এক গ্লাস ছাতুর শরবত পান করুন। গ্লাসে জল নিন। দু’চামচ ছাতু দিন তাতে। লেবু চিপুন। বিট নুন যোগ করুন। স্বাদ বৃদ্ধি করতে লঙ্কা এবং পিঁয়াজ়ও দিতে পারেন।
ফলের রস
মরশুমি ফল যেমন তরমুজের শরবত তৈরি করে খেতে পারেন। প্যাকেটের জুস না খেয়ে গোটা ফলের জুস একটু কষ্ট করে তৈরি করে নিন। উপকার পাবেন বেশি। ফলের রসে চিনি দেবেন না।
আর হ্যাঁ, গরমে বাইরে থেকে ঘরে ঢুকেই পানীয়র গ্লাসে চুমুক দেবে না কিংবা এসি ঘরে ঢুকে যাবেন না। ১০-১৫ মিনিট পাখার হাওয়ার তলায় থাকুন। না হলে সর্দি-কাশি লেগে যেতে পারে।