এক্সারসাইজের প্রাথমিক এবং সবচেয়ে সহজ উপায় বলা যেতে পারে হাঁটাকে। এর জন্য আলাদা করে কোনও প্রস্তুতির প্রয়োজন পড়ে না। দিনের মধ্যে বাড়তি সময়ও বের করতে হয় না। কিন্তু কিছুটা সময় বের করে কিংবা দৈনন্দিন জীবনে হাঁটাকে প্রাধান্য দিতে পারলে অনেক রোগেরই প্রতিরোধ সম্ভব! গবেষণায় এমনটাই বলছে। রোজ ৫ হাজার স্টেপ হাঁটলেই মানসিক এবং শারীরীক ভাবে অনেক রোগকে আটকে দিতে পারে বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। আর কী বলা হয়েছে?
এ বছর একটি গবেষণা হয়েছে। আর তাতেই দেখা গিয়েছে, শারীরীক উপকারের পাশাপাশি অবসাদের মতো পরিস্থিতির সঙ্গেও লড়াই করতে হাঁটাই অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। মানসিক স্বাস্থ্যও ভালো থাকে। ডিপ্রেসন বা মানসিক অবসাদের ঘটনা সময়ের সঙ্গে বেড়েইচলেছে। ওয়ার্ল্ড হেল্থ অর্গানাইজেশন (WHO)-এর তথ্য অনুযায়ী, সারা বিশ্বে প্রায় ২৮ কোটি মানুষ মানসিক অবসাদের শিকার।
গবেষণা অনুযায়ী, শারীরীক কসরত যেমন হাঁটার ফলে ডিপ্রেশনের সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যায়। ৩৩টি রিসার্চ, মেটা অ্যানালাইসিসে প্রায় ৯৬ হাজার প্রাপ্ত বয়স্কদের নিয়ে এমন গবেষণা হয়েছে। যাতে দেখা গিয়েছে, যাঁরা দিনে অন্তত ৫ হাজার স্টেপ হেঁটেছেন, তাঁদের মধ্যে মানসিক অবসাদের উপসর্গের পরিমাণ একেবারেই কম। যাঁরা এর চেয়ে কম হেঁটেছেন, তাঁদের মধ্যে এই উপসর্গ তুলনামূলক বেশি।
এর নেপথ্যে সহজ বিজ্ঞান। হাঁটার ফলে এন্ডোরফিন্স তৈরি হয়, শরীরের যা প্রাকৃতিক বুস্টার তৈরি করে। নিয়মিত হাঁটার ফলে স্ট্রেস কমে। মানসিক ভাবে অনেক তরতাজা থাকা যায়। তা হলে কি ৫ হাজার স্টেপই যথেষ্ট? তা বলা যেতে পারে। তবে এর চেয়ে বেশি হাঁটতে পারলে ফলও ভালো পাওয়া যায়, গবেষণায় এমনও উঠে এসেছে।