Heart Attack in Women: মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কিন্তু পুরুষদের থেকে একদম আলাদা, উপসর্গ না চিনলে বিপদে পড়বেন

Heart Problem: পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি। সেটা ৫০-এর আগে নয়। মেনোপজের পরই মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গও আলাদা হয়। মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের কারণগুলো কী-কী চলুন জেনে নেওয়া যাক।

Heart Attack in Women: মহিলাদের হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ কিন্তু পুরুষদের থেকে একদম আলাদা, উপসর্গ না চিনলে বিপদে পড়বেন
Follow Us:
| Updated on: Aug 08, 2024 | 1:14 PM

কম বয়সে একের পর এক হার্টের ঘটনা ঘটেই চলেছে। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো শারীরিক সমস্যাই হার্টের সমস্যার পিছনে দায়ী। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, ৫০-এর দোরগোড়ায় পৌঁছানোর আগে পুরুষেরা আক্রান্ত হচ্ছে হার্ট অ্যাটাক। তবে, নারীরা যে একদম সুরক্ষিত, তা কিন্তু নয়। বরং, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেশি। সেটা ৫০-এর আগে নয়। মেনোপজের পরই মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। ৪৫ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে মহিলাদের দেহে আরেকটি শারীরিক পরিবর্তন ঘটে, যেখানে মেন্সট্রুয়াল সাইকেল বন্ধ হয় এবং মেনোপজ় হয়। এই সময় মহিলাদের দেহে ইস্ট্রোজেন হরমোনের ক্ষরণ কমে যায়। তখনই দেহে মেদ জমতে শুরু করে।

উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের মতো শারীরিক সমস্যা দেখা দেয় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে। মহিলাদের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি মেনোপজ়ের পরই বাড়ে। শুধু তা-ই নয়, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের উপসর্গও আলাদা হয়। মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের কারণগুলো কী-কী চলুন জেনে নেওয়া যাক।

মহিলাদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ-

মহিলাদের মধ্যেও হার্ট অ্যাটাকের পিছনে উচ্চ রক্তচাপ বা হাইপারটেনশন, ডায়াবেটিস, মানসিক চাপ, মদ্যপান ও ধূমপানের মতো কারণগুলো দায়ী। মহিলাদের ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাক হলে বুকে চাপ লাগা, শারীরিক অস্বস্তি, শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়। হঠাৎ করে মনে হয়, বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভূত হয়। পাশাপাশি পেট, পিঠ ও চোয়ালে ব্যথা হতে শুরু করে। অনেকেই মনে করে, শারীরিক ক্লান্তির কারণে এমন অস্বস্তি তৈরি হচ্ছে, কিন্তু এই ধরনের লক্ষণগুলো এড়িয়ে যাবেন না।

হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি এড়াবেন যে উপায়ে-

মেনোপজ় শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। এ বিষয়ে সচেতন থাকুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসাধীন থাকুন। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ব্লাড প্রেশারের মতো সমস্যা যাতে আপনার ধারে কাছেও না ঘেঁষে সে দিকে খেয়াল রাখুন। ধূমপান ও মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন। ডায়েটে নজর দিন। সুষম আহার জরুরি। এই সময় নারী দেহে পুষ্টির ঘাটতিও দেখা দিতে পারে। এছাড়া ওজনকে কোনও ভাবেই বাড়তে দেবেন না। নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।