৭-৮ ঘণ্টা ঘুমের পরও ক্লান্তি কাটছেই না? এই রোগের লক্ষণ নয় তো!
ঠিকঠাক ঘুম না হলে সকলেই ক্লান্তি বোধ করেন। যদি দেখেন ৭-৮ ঘণ্টার পর্যাপ্ত ঘুমের পরও ক্লান্তি কাটছে না, তা হলে বুঝতে হবে কিছু সমস্যা শরীরে দানা বাঁধছে।

ঠিকঠাক ঘুম না হলে সকলেই ক্লান্তি বোধ করেন। যদি দেখেন ৭-৮ ঘণ্টার পর্যাপ্ত ঘুমের পরও ক্লান্তি কাটছে না, তা হলে বুঝতে হবে কিছু সমস্যা শরীরে দানা বাঁধছে। কমবেশি সকল মহিলাদের মধ্যে খুব সাধারণ সমস্যা হল অ্যানিমিয়া বা রক্তাল্পতা। দেহে আয়রনের অভাব হলে এই সমস্যা দেখা দেয়। আর দেহে আয়রনের অভাব হয় খাওয়া-দাওয়া ঠিকঠাক না করলে। অবশ্য এর বেশ কয়েকটি উপসর্গ রয়েছে। যা দেখলে বেশ খানিকটা আগে থেকে সতর্ক হওয়া যায়। এর ফলে রক্তাল্পতার ঝুঁকিও কমাতে সাহায্য করে। যে কারণে ওই সকল লক্ষণ দেখলে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।
কোন উপসর্গ দেখলে বুঝবেন শরীরে আয়রনের অভাব রয়েছে?
১) রোজ পর্যাপ্ত ঘুমের পরও যদি কারও শরীর ক্লান্ত থেকে যায়, তা হলে বুঝতে হবে দেহে আয়রনের ঘাটতি হচ্ছে। যে কারণে বিশ্রাম নেওয়ার পরও যদি কাজ করার এনার্জি না পান, তেমনটা হলে সতর্ক হতে হবে। আয়রনের ঘাটতি থাকলে শরীরে থাকা কোষে পর্যাপ্ত অক্সিজেন পৌঁছতে পারে না, যার ফলে ক্লান্তি তৈরি হয়।
২) শরীরে প্রতিটা অংশে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন যদি না পৌঁছয়, তা হলে বুকেও ব্যথা অনুভব হয়। এর পাশাপাশি শ্বাস-প্রশ্বাসে নিতে সমস্যা হয়। এ ছাড়া উচ্চ রক্তচাপ বা হার্টের সমস্যা না থাকলেও মাঝে মাঝে বুকে ব্যথা বা বুকে চাপ অনুভব হয়।
৩) দেহে আয়রনের ঘাটতি হলে অনেক সময় ত্বক ফ্যাকাশে লাগে। পাশাপাশি অত্যন্ত বিবর্ণও দেখায়। কমে যায় ত্বকের জেল্লা। সেইসঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। তা এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।
৪) কোনও ব্যক্তির দেহে আয়রনের ঘাটতি হলে তাঁর মস্তিষ্ক সহ শরীরের নানা অংশে অক্সিজেনের ঘাটতিও তৈরি হয়। এর ফলে মাথা ঘুরতে পারে, মাথা ব্যথার মতো উপসর্গও দেখা দিতে পারে।
৫) যদি আচমকা লক্ষ্য করেন নখ একটু বড় হলেই ভেঙে যাচ্ছে, তা হলে বুঝতে হবে শরীরে আয়রনের অভাব হতে পারে। তাই এমনটা বুঝতে পারলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, দেহে আয়রনের ঘাটতি পূরণ করার জন্য শুধু সাপ্লিমেন্ট খেলেই হবে না। এর পাশাপাশি ডায়েট নিয়েও সচেতন হতে হবে। যে সকল খাবার দেহে আয়রনের অভাব পূরণ করতে পারে সেগুলি হল – মাংসের মেটে, পালং শাক, নানারকম ডাল, রেড মিট, কুমড়োর দানা, কিনোয়া, ব্রকোলি, মাছ ইত্যাদি।
