Health Budget 2023: অ্যানিমিয়া-মুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা কেন্দ্রের, এই রোগ কতটা বিপজ্জনক?
Anemia in India: বাজেট পেশের সময় প্রতিবারের মতো স্বাস্থ্য খাতেও কিছু ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল অ্যানিমিয়া-মুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা। এই অ্যানিমিয়া কী, কেন হয়, কারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন সে ব্যাপারে আলোচনা প্রয়োজন।
ডায়াবেটিস, ক্যানসারের পাশাপাশি ভারতে রক্তাল্পতা (Anemia) হল আরও একটি বড় সমস্যা। ২০২৩ সালের দেশের বাজেট (Budget 2023) পেশে দেশকে অ্যানিমিয়া-মুক্ত করার কথা ঘোষণা করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। মোদী সরকারের ২.০-এর পূর্ণ বাজেটে বলা হয়েছে, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে রক্তাল্পত- মুক্ত করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই অ্যানিমিয়া রোগ কী, কাদের হয়, কেন হয়, কতটা বিপজ্জনক, সে ব্যাপারে দেশের অধিকাংশ মানুষই অজ্ঞ। অ্যানিমিয়া হল এমন একটি রোগ যেখানে একজনের রক্তে লোহিত রক্তকণিকা বা হিমোগ্লোবিনের (Haemoglobin) সংখ্যা স্বাভাবিক সংখ্যার তুলনায় কম থাকে। তাদের রক্তের অক্সিজেন বহন করার ক্ষমতা হ্রাস পায় ও তার জেরে নানান স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হোন আক্রান্তরা। সমীক্ষা বলছে, ভারতের মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ মানুষ রক্তাল্পতায় ভুগছেন। এই ৪০ শতাংশের মধ্যে একটি বড় সংখ্যক মহিলা ও শিশু এই রোগে আক্রান্ত। ডায়াবেটিস, ক্যানসারের মতোই এই রোগ দেশের জন্য বেশ গুরুতর।
রক্তল্পতা কী?
বাজেট পেশের সময় প্রতিবারের মতো স্বাস্থ্য খাতেও কিছু ঘোষণা করা হয়েছে, যেখানে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল অ্যানিমিয়া-মুক্ত দেশ গড়ার ঘোষণা। এই অ্যানিমিয়া কী, কেন হয়, কারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হন সে ব্যাপারে আলোচনা প্রয়োজন। এই অ্যানিমিয়া কী? কারণ অনেকেই এই রোগ সম্পর্কে খুব একটা সচেতন নন। সহজ কথায় বলতে গিয়ে, রক্তশূন্যতার স্পষ্ট অর্থ হল শরীরে রক্তের অভাব। ভারতে বেশিরভাগ মহিলা এবং শিশু এই রোগে আক্রান্ত। কারোর শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে রক্তশূন্যতা হয়। আয়রনের ঘাটতি হলেই শরীরে রক্তের গঠন কমে যায়। দেহে রক্তের অভাব হলে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে অক্সিজেন প্রবেশ করতে পারে না। এর ফলে আরও অনেক মারাত্মক রোগের শিকার হতে হয়।
মহিলাদের মধ্যে রক্তস্বল্পতার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি
– অল্পবয়সী মেয়েরা পিরিয়ড শুরু হওয়ার বয়সে সবচেয়ে বেশি রক্তশূন্যতায় আক্রান্ত হয়। এছাড়া ভারতে ৮০ শতাংশেরও বেশি গর্ভবতী মহিলা রক্তাল্পতায় ভোগেন।
রক্তাল্পতার লক্ষণ
– ত্বক ফ্যাকাসে বা হলুদ হয়ে যাওয়া
– জিহ্বা, নখ ও চোখের ভিতরে সাদাটে বা ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া। এমনটা দেখা দিলে রক্তস্বল্পতা পরীক্ষা করতে পারেন।
– দুর্বলতা ও ক্লান্তি- রক্তাল্পতা অতিরিক্ত দুর্বলতা ও ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
– মাথা ঘোরা- হাঁটতে, উঠতে ও বসার সময় হঠাৎ মাথা ঘোরা অনুভব করলে তা রক্তস্বল্পতার বড় লক্ষণ হতে পারে।
– অজ্ঞান হয়ে যাওয়া – হাঁটতে হাঁটতে আপনি যদি অজ্ঞান বোধ করতে শুরু করেন তবে তা রক্তস্বল্পতার লক্ষণ হতে পারে।
– শ্বাসকষ্ট- রক্তস্বল্পতা রোগীদের মধ্যে এই লক্ষণটি প্রায়শই দেখা গেছে যে হাঁটতে হাঁটতে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
– দ্রুত হার্টবিট- হার্টবিট খুব দ্রুত হতে শুরু করলে বুঝবেন আপনি রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন।
– মুখ ও পা ফুলে যাওয়া- মুখ ও পায়ে ফোলাভাব থাকলে তা রক্তস্বল্পতার লক্ষণ হতে পারে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)