বীজ না ফেলেই তরমুজ খান, রোজের খাবারে কেন তরমুজের বীজ রাখবেন? জেনে নিন

Sohini chakrabarty |

Apr 15, 2021 | 5:18 PM

স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পুষ্টিগুণ থাকার পাশাপাশি ত্বক এবং চুলের জন্যও ভাল তরমুজের বীজ। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ঠিক কী কী কাজে লাগে এই তরমুজের বীজ।

বীজ না ফেলেই তরমুজ খান, রোজের খাবারে কেন তরমুজের বীজ রাখবেন? জেনে নিন
এই বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ভিটামিন। সেই সঙ্গে থাকে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান।

Follow Us

ছোট থেকেই আমাদের শেখানো হয় তরমুজ খাওয়ার সময় অতি অবশ্যই বীজ ফেলে খেতে হবে। ঠিক কী কারণে এমনটা বলা হয়, তা অনেকেরই জানা নেই। সেই সঙ্গেই তরমুজের বীজের হাজার গুণও অনেকেরই অজানা।

তাই তরমুজ খাওয়ার সময় বীজ না ফেলে বরং ডায়েটে বীজ সমেত তরমুজই খেতে পারেন। এই বীজে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ভিটামিন। সেই সঙ্গে থাকে বিভিন্ন পুষ্টিকর উপাদান যেমন ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৫ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে তরমুজের বীজে। এছাড়াও থাকে প্রয়োজনীয় মিনারেলস যেমন- ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক, কপার এবং পটাসিয়াম। তরমুজের পুষ্টিগুণের বেশিরভাগটাই থাকে তার বীজে। অতএব বীজ ফেলে না দিয়ে সেটা খান।

স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য পুষ্টিগুণ থাকার পাশাপাশি ত্বক এবং চুলের জন্যও ভাল তরমুজের বীজ। একনজরে দেখে নেওয়া যাক ঠিক কী কী কাজে লাগে এই তরমুজের বীজ।

১। মোলায়েম এবং উজ্জ্বল ত্বক পেতে হলে তরমুজের বীজকে নিজের বন্ধু বানিয়ে ফেলুন। রোস্টেড তরমুজের বীজ আপনার ব্রনর সমস্যা দূর করতে কাজে লাগবে। এছাড়াও অসময়ে বলিরেখা দেখা দেবে না ত্বকে। তরমুজের বীজে থাকা ম্যাগনেসিয়াম মূলত ত্বকের ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। এছাড়াও ত্বকে যে এগজিমার সমস্যা দেখা দেয় সেটাও দূর করে তরমুজের বীজ। ত্বককে ময়শ্চারাইজড রাখে।

২। তরমুজের বীজে প্রোটিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়া, জিঙ্ক ভরপুর থাকার কেবল ত্বক নয়, চুলের জন্যও এই উপাদান খুবই ভাল। চুলের গ্রোথ বৃদ্ধির পাসাপাশি চুলে পুষ্টি এবং শক্তি যোগায় তরমুজের বীজ। এছাড়াও চুল পড়ার সমস্যা এবং চুলের ডগা ফেটে যাওয়া ও অন্যান্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। তরমুজের বীজে থাকা কপার বা ইয়া,আ মূলত চুলের ঔজ্জ্বল্য বলায় রাখে এবং চুল থাকে নরম-মোলায়েম-সিল্কি এবং শাইনিং।

৩। তরমুজের বীজ থাকে ওমেগা ৩ এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। এই উপাদান স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা এবং প্রবণতা দুটোই কমায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান হিসেবে কাজ করে তরমুজের বীজ। হার্ট ভাল রাখতে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এছাড়াও তরমুজের বীজে থাকা ম্যাগনেসিয়া ব্লাড প্রেশারের মাত্রা ঠিক রাখে। আর আয়রন শরীরে সঠিক পরিমাণ অক্সিজেন সাপ্লাইয়ে সাহায্য করে।

৪। হাড় মজবুত করতেও কাজে লাগে তরমুজের বীজ। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের হাড় কমজোরি হয়। রোজের মেনুতে তাই তরমুজের বীজ থাকলে হাড়ের গঠন সুদৃঢ় হবে। সেই সঙ্গে এই বীজে থাকা ম্যাগনেসিয়া, কপার এবং পটাসিয়াম হাড়ের ক্ষয় রোধ করবে। ফলে অস্টিওপোরোসিস হওয়ার সম্ভাবনা কমবে।

৫। তরমুজের বীজে ভিটামিন এ, সি এবং বি৬ থাকে। শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা সঠিক রাখতে এইসব ভিটামিন সাহায্য করে। টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রেও এটি উপকারি উপাদান। তরমুজের বীজে থাকা ম্যাগনেসিয়াকার্বোহাইড্রেটের মেটাবলিজম নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে ব্লাড সুগারের মাত্রা লাগামছাড়া হয়ে বাড়তে পারে না।

৬। একাধিক পুষ্টিজাত উপাদান থাকার ফলে তরমুজের বীজ খুব ভাল এনার্জি বুস্টার। সেই সঙ্গে প্রতিরোধ ক্ষমতাও সুদৃঢ় করে এই বীজ। তরমুজের বীজা থাকা হেলদি ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি, আয়রন এবং অন্যান্য মিনারেলস মানবশরীরের ইমিউন সিস্টেম অর্থাৎ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সুদৃঢ় করে।

Next Article