World Chocolate Day 2021: কোভিড ১৯-স্ট্রেস কমানোর মোক্ষম দাওয়াই ডার্ক চকোলেট!
অকারণে মেজাজ খারাপ হলে, হঠাত করে রেগে গেলে , রক্তচাপ হ্রাস হলে , বিপাকতন্ত্রে সমস্যা দেখা দিলে ডার্ক চকোলেট খাওয়া ভাল। এতে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিইনফ্লেমটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ালের সম্পদ।
চকোলেটের নাম শুনলেই জিভ দিয়ে জল চলে আসে। ছোটদের তো বটেই, বড়রাও কম যান না। স্বাদের জন্যই নয়, আধুনিক গবেষণায় উঠে এসেছে, চকোলেটের বিশেষ কিছু গুণাগুণ নিয়ে। মানসিক শান্তির জন্য ডার্ক চকোলেট বেশ কার্যকরী। শরীরের মেদ ঝরাতে ও স্ট্রেস কমাতে চকোলেট না দারুণ উপকারী। প্রতিবছর ৭ জুলাই সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক চকোলেট দিবস হিসেবে পালন করা হয়। যদিও চকোলেটের আগমন ঘটেছে ১৬ শতকের গোড়ার দিকে। ২০০৯ সালে এই দিনটে বিশ্ব চকোলেট দিবস হিসেবে পালন করা সিদ্ধান্ত নিয়েও ১৫৫০ সালে ইউরোপে চকোলেটকে একটি অসাধারণ ডেসার্ট হিসেবে পরিবেশন করা হয়েছিল, তারপর সেই চকোলেটের প্রেমে পাগল গোটা দুনিয়া।
বিভিন্ন স্বাদের চকোলেট প্রায় সব বয়সিরাই কম-বেশি উপভোগ করেন। মুড ঠিক করতে চকোলেটের গুণের শেষ নেই। সম্প্রতি করোনাকালে আতঙ্ক, উদ্বেগ কাটাতে মোক্ষম দাওয়াই হিসেবে ডার্ক চকোলেটের কদর বেড়ে গিয়েছে। স্বাদের দিক থেকেই শুধু আকর্ষণীয় তা মোটেই নয়, চকোলেটে রয়েছে দুর্দান্ত স্বাস্থ্যকর উপাদানও। সম্পর্ক তৈরিতে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, কিংবা মানসিক অস্থিরতা কাটাতে চকোলেটের বিকল্প কিছু হয় না।
এমনকি, কোভিড পরিস্থিতিতে, করোনা আক্রান্তদের মানসিক চাম কমাতে ডার্ক চকোলেট খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে ট্যুইট করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. হর্ষবর্ধন। তবে সেই টুইট নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও গবেষণার ফল জানাচ্ছে, ডার্ক চকোলেটে রয়েছে ফ্ল্যাভোনয়েড ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উপাদান। যা ফ্রি র্যাডিক্যালসের মাত্রা যেমন এতে নিয়ন্ত্রিত থাকে, তেমনই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রোগ প্রতিরোধেও সাহায্য করে। তাই চকলেট স্থান পেয়েছে ‘সুপারফুড’-এর তালিকায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিপ্রেশন কাটাতে, স্ট্রেস কমাতে এই চকোলেটের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
পুষ্টিবিদদের মতে, চকোলেট খেলেও নিয়ন্ত্রণে থাকবে শরীর। বাড়তি ওজন তো হবেই না, বরং নিয়ম মেনে খেলে স্ট্রেস কমবে! সাধারণ চকোলেটের তুলনায় ডার্ক চকোলেটই শরীরের জন্য ভাল। তাই চকোলেট খাওয়ার আগে দেখে নিন, তাতে ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কোকোমুক্ত কি না। দিনে তিন-চার টুকরো ডার্ক চকোলেটে ক্ষতি তো নেই বরং উল্টে আপনি লাভবানই হবেন।
বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে চকোলেটের মধ্যে রয়েথে স্বাস্থ্যকর কিছু গুণাবলী। গবেষকদের মতে, দু সপ্তাহের জন্য যদি প্রতিদিন ১.৪ আউন্স ডার্ক চকোলেট খাওয়া যায়, তাহলে হমোন করটিসোলের মাত্রা হ্রাস পেতে পারে। পাশাপাশি ক্যাটাওলমাইনস নামক ফাইট-টু-ফাইটহরমোনের মাত্রাও হ্রাস ঘটে।
আরও পড়ুন: Health And Fitness: এক জায়গায় ৩০ মিনিট টানা হাঁটলেও কি ঝরবে শরীরের অতিরিক্ত মেদ?
অকারণে মেজাজ খারাপ হলে, হঠাত করে রেগে গেলে , রক্তচাপ হ্রাস হলে , বিপাকতন্ত্রে সমস্যা দেখা দিলে ডার্ক চকোলেট খাওয়া ভাল। এতে রয়েছে অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টিইনফ্লেমটরি ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়ালের সম্পদ। এই জরুরি উপাদানের কারণে চাপ থেকে মুক্তি মেলে দ্রুত।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল , ডার্ক চকোলেট গ্রহণ করার ফলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। স্ট্রেস নিন্ত্রণের জন্য ডার্ক চকোলেট হল একমাত্র দাওয়াই।পাশাপাশি করোনা আক্রান্তদের সুস্থতার জন্য দরকার সুষম আহার, সঠিক পরিচর্চা। ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সমস্ত মেডিসিন গ্রহণ করা আবশ্যিক।