International Kissing Day 2021: চুম্বন নিয়ে আদিখেত্যা! সুস্থতার পিছনে এই ‘সুপার ম্য়াজিক’-এর অবদান কতটা?

রবীন্দ্রনাথ বহু আগেই লিখে গিয়েছেন, 'প্রেম লিখিতেছে গান কোমল আখরে- অধরেতে থরে থরে চুম্বন লেখা।' করোনা কালে এই কবিতার লাইন অপ্রাসঙ্গিক হলেও, প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে তা চিরন্তন । প্রতিবছর ৬ জুলাই আন্তর্জাতিক চুম্বন দিবস হিসেসে সারা বিশ্বেই পালিত হয়।

International Kissing Day 2021: চুম্বন নিয়ে আদিখেত্যা! সুস্থতার পিছনে এই 'সুপার ম্য়াজিক'-এর অবদান কতটা?
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Aug 07, 2021 | 12:55 PM

‘তোমার ঠোঁট আমার ঠোঁট ছুঁলো যদিও এ প্রথমবার নয়, চুম্বন তো আগেও বহুবার এবার ঠোঁটে মিলেছে আশ্রয়।”...

সুজাতা গঙ্গোপাধ্যায়ের ‘চুম্বন’ কবিতার এই লাইনগুলো আজকের এই বিশেষ দিনের জন্য আদর্শ। কিন্তু করোনাকালে কবিতার এই লাইনগুলি অপ্রাসঙ্গিক। লকডাউন, করোনাভাইরাসের আতঙ্কে মানুষ সামাজিক দূরত্বকে মাথায় রেখে পথ চলতে শিখে গিয়েছে। তবে এ কথা চিন্তার যে, দুরত্ব মেনে কীভাবে চুমু খাওয়া যায়। বিকল্প হিসেবে নতুন প্রজন্ম বেছে নিয়েছে ভার্চুয়াল চুম্বনকেই। আজ বিশ্ব চুম্বন দিবসে করোনা আতঙ্ককে মাথায় রেখেই মনের মানুষকে লাল লিপস্টিক মাখা ভার্চুয়াল চুমুই পাঠাতে হবে।

কিন্তু রবীন্দ্রনাথ বহু আগেই লিখে গিয়েছেন, ‘প্রেম লিখিতেছে গান কোমল আখরে- অধরেতে থরে থরে চুম্বন লেখা।‘ করোনা কালে এই কবিতার লাইন অপ্রাসঙ্গিক হলেও, প্রেমিক-প্রেমিকাদের কাছে তা চিরন্তন । প্রতিবছর ৬ জুলাই আন্তর্জাতিক চুম্বন দিবস হিসেসে সারা বিশ্বেই পালিত হয়। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আলাদাভাবে ২২জুনে জাতীয় কিসিং ডে পালন হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ভ্যালেন্টাইন ডে সপ্তাহের মধ্যেও একটি কিসিং ডে হিসেবে পালন করা হয়। ১৩ ফেব্রুয়ারি কিসিং ডে হিসেবে পালন করেন প্রেমিক-প্রেমিকারা। জীবনে রোম্যান্স আনতে, শরীরের রোগভোগ তাড়াতে এই লকডাউনে ধুমধাম করে চুম্বন দিবস পালন করার পরামর্শ দিচ্ছেন মনবিদ থেকে চিকিত্সকরা। কারণ, সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, শুধু শরীরে উদ্দীপনার প্রয়োজনে নয়, সঙ্গীর স্বাস্থ্যের কথা ভেবেও চুম্বন করা আবশ্যিক।

আরও পড়ুন: ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত ডায়েটে থাকুক একটি করে আম!

গবেষণা বলছে, চুম্বনের জেরে শরীরী থেকে অতিরিক্ত মেদ ঝরে যায়। মানে হল, প্রতিদিন শরীরচর্চার মতোই রোজ যদি চুম্বন করেন. তাহলে ক্যালোরি দ্রুত কমতে শুরু করে। গবেষণায় জানা গিয়েছে, শুধু মনের মানুষ নয়, কাছের মানুষ বা সন্তানকে চুম্বন করলেও শরীরের অতিরিক্ত ক্যালোরি হ্রাস পেতে থাকে। জানা গিয়েছে, প্রতিদিন ১ মিনিট করে চমুম খেলে প্রায় ৫ ক্যালোরি পর্যন্ত ওজন কমতে পারে। চুম্বন হল একটি সুন্দর অনুভূতি। ভালবাসার মানুষের কাছে এই সুন্দর অনুভূতি সম্পর্কের বাঁধনকে আরও মজবুত গড়তে সাহায্য করে। শারীরিক নয়, মানসিক দিক থেকেও একে অপরের জন্য চুম্বন একেবারে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। চুমুর মতো সুন্দর অনুভূতি শুধু শারীরিক চাহিদা মেটানোর অন্যতম অংশ হিসেবে প্রকাশিত হয় তা নয়, দেহের মধ্যে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বৃদ্ধি ও ক্যালোরি বার্ন করাতেও সাহায্য করে। মানসিক সমস্যা, স্ট্রেস কমাতে উষ্ণ আলিঙ্গন বা চুম্বনের আদান-প্রদানের দরকার পড়ে।

চুম্বন আদান-প্রদান নিয়ে কিছু অজানা তথ্য

১. যদি সঙ্গীকে এক মিনিটের জন্য চুম্বন করেন তবে আপনি ২৬-এর বেশি ক্যালোরি পর্যন্ত ঝরাতে পারেন। প্রসঙ্গত প্রতিদিন যদি একমিনিট করে চুম্বন আদান-প্রদান করলে আয়ু বৃদ্ধি হয়।

২. প্রতিটি ১০-সেকেন্ড-দীর্ঘ ফ্রেঞ্চ কিসিংয়ের (French kiss )জেরে ৮০ মিলিয়ন ব্যাকটিরিয়ার আদান-প্রদান হয়। তবুও মুখগহ্বর পরিস্কার করতে ও অতিরিক্ত লালা নিঃসরণ করতে চুম্বন করা প্রয়োজন। এই ধরনের কিসিংয়ের ফলে দাঁতের ক্ষয়ও কম হয়।

আরও পড়ুন: বাড়িতেও মাস্ক, কাছে আসায় বাধা, কীভাবে আদৌ উষ্ণ থাকবে সম্পর্ক; পড়ুন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ

৩. গবেষণায় দেখা গেছে চুম্বনের কারশে মানসিক সমস্যাগুলি এক নিমেষে দূর হয় ও শরীর সুস্থ থাকে।

৪. গড়ে একজন ব্যক্তি চুম্বনে ৩৩৬ ঘন্টা ব্যয় করেন যা আমাদের জীবনের দু-সপ্তাহের সমান।

৫. মধ্যযুগীয় যুগে যখন লোকেরা পড়তে এবং লিখতে অক্ষম ছিল, সেই সময় লোকেরা তাদের নামের সঙ্গে ‘এক্স দিয়ে সাইন করত এবং তারপরে আন্তরিক অভিপ্রায় দেখানোর জন্য চুম্বন করত।

৬. কুকুর সবচেয়ে চুম্বনযোগ্য পোষা প্রাণী। প্রায় ৭৫ শতাংশ লোক তাদের পোষা প্রাণীকে চুম্বন করেন, তবে ৭০ শতাংশ কুকুর হ’ল চুম্বন করার জন্য সেরা পোষা প্রাণী। ২১% তাদের বিড়ালকে চুম্বন করে, সাত শতাংশ তাদের পাখি এবং দুই শতাংশ চুম্বনের সরীসৃপকে চুম্বন করেন।

৭. ১৯৬৬ সালে স্টার ট্রেকের (Star Trek) সিরিজের একটি এপিসোডে প্রথমবারের জন্য টেলিভিশনের পর্দায় ঘনিষ্ঠ চুম্বন দেখানো হয়েছিল।