কিডনির মারাত্মক সমস্যা দূর করতে এই ৫ ঘরোয়া উপায়েই মিলবে দিশা!
আপনি যদি কিডনির ব্যর্থতা রোধ করতে চান, তাহলে কিছু এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ব্যবহার করতে পারেন। কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো ব্যয়বহুল খরচের হাত থেকে বাঁচতে নিজেই একটু সচেতন হোন।
কিডনির সমস্যা দেখা দিলে সবাধান হোন। দীর্ঘস্থায়ী কিডনির রোগ বা সমস্যার চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে গেলে তাকে কিডনি ফেলিওর বলা হয়। কিডনি ফেলিওর হলে কিডনির যাবতীয় কাজ বন্ধ হয়ে যায়, কিডনির স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য বিকল্প পথ হিসেবে ডায়ালাইসিস করতে হয়। শেষ পর্যন্ত আপনার কিডনি প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হতে পারে। তবে আপনি যদি কিডনির ব্যর্থতা রোধ করতে চান, তাহলে কিছু এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ব্যবহার করতে পারেন। কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো ব্যয়বহুল খরচের হাত থেকে বাঁচতে নিজেই একটু সচেতন হোন।
সাধারণত, কিডনিতে যদি মারাত্মক ক্ষতির সৃষ্টি হয় তাহলে পূর্বাবস্থায় ফেরানো সম্ভব হয় না। প্রাথমিক পর্যায়ে কিডনি রোগ নির্ণয় করে আপনার কিডনির অবস্থা বুঝে চিকিত্সা শুরু করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ কিডনির সমস্যা থাকলে আপনার হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে, তাই খুব শীঘ্রই এই অবস্থার চিকিত্সা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
হাইড্রেট থাকার চেষ্টা
যতটা সম্ভব ব্যাকটেরিয়া নির্মূল করতে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করতে হবে। কিডনির রোগ বা মারাত্মক সমস্যা এড়াতে কিডনির মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়াকে বাইরে বের করতে জল পান করার অভ্যেস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশনের মতো সমস্যাগুলি খুব সহজেই মেটানো সম্ভব হয়। সাধারণত, সারা দিনে ৮ গ্লাসের মতোপানীয় জল পান করা আবশ্যিক।
ক্রানবেরির জুস
ঘরোয়া উপায়ে কিডনির সমস্যা বা ব্যর্থতা রোধ করতে ক্রানবেরির জুস খাওয়া যেতে পারে। ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন প্রতিরোধের জন্যও এই জুস অত্যন্ত উপকারী। ক্রানবেরিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান, যা ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করতে ও কিডনির কোষগুলিতে অক্সিডেটিভ ক্ষতির হাত থাকে বাঁচাতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত ডায়েটে থাকুক একটি করে আম!
অ্যালকোহল ও কফি এড়িয়ে চলুন
শরীরের যাবতীয় টক্সিন ও সাবস্টেন্স দূর করার কাজে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে কিডনি। স্বাভাবিকভাবে, অতিরিক্ত মদ্যপান ও কফি খাওয়ার ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত টক্সিন নির্মূল করতে কিডনির উপর দারুণ প্রভাব বিস্তার করে। অতিরিক্ত কাজের চাপ থাকায় কিডনির কোষগুলির কর্মক্ষমতা অনেকটাই কমে যায়। যার জেরে মারাত্মক কিডনির সমস্যা দেখা দিতে পারে।
প্রোবায়োটিক
কিডনি ফেলিওর রোধ করতে ঘরোয়া উপায়ে প্রোবায়োটিক যুক্ত খাবার খাওয়া দারুণ কার্যকরী। শরীরের মধ্যে ভাল ব্য়াকটেরিয়া প্রবেশ করানো, কিডনির ফিল্টার পদ্ধতিকে আরও সহজ ও দ্রুত করতে এই প্রোবায়োটিক দারুণ ভূমিকা পালন করে।
ভিটামিন সি
কিডনির সমস্যা বা কিডনি ফেলিওর প্রতিকারের জন্য ভিটামিন সি-যুক্ত খাবার খাওয়া অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। শরীরে অক্সিডেটিভ ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে অ্যান্টি্ক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ উপাদান বেশ কার্যকরী। কিডনিকে সুস্থ রাখতে , কিডনি ফেলিওর ও কিডনির মারাত্মক সমস্যা তৈরি হওয়া থেকে বাঁচাতে ভিটামিন সি -যুক্ত খাবার উপকারী। ব্রোকোলি, পালং শাক, টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা কিডনির যে কোনও সমস্যা দূর করতে এই সবজিগুলি আপনার ডায়েট চার্টে রাখতে পারেন।