AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত ডায়েটে থাকুক একটি করে আম!

অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল হল ফলের রাজা। প্রতিটি বয়সির স্বাস্থ্যের জন্য আম অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য আম হল আদর্শ মরসুমি ফল।

ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে নিয়মিত ডায়েটে থাকুক একটি করে আম!
ছবিটি প্রতীকী
| Edited By: | Updated on: Jul 04, 2021 | 2:10 PM
Share

গোটা গরমকাল আম খাওয়ার জন্যই অপেক্ষা করে থাকেন বেশিরভাগ মানুষ। বর্ষা শুরু হলেও, বাজার থেকে আম বিক্রি কমে যায়নি। রসাল, মিষ্টি আম হোক বা টক-মিষ্টি কাঁচা আম। যে কোনও ধরনের আম যে কোনও সময়েই ভাল লাগে। তবে ডায়াবেটিস রোগী, প্রেগন্যান্টদের ক্ষেত্রে আম খাওয়ার ব্যাপারে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়। তবে আমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফেনলস যেমন কুয়েরেকটিন, গ্যালিক অ্যাসিড, কায়েম্পফেরল ও এলিজিক অ্যাসিড, ক্যারোটেনয়েডস, প্রোভিটামিন এ, বেটা ও আলফা-ক্যারোটিন, লুটিন , ডায়েটারি ফাইবার, ভিটামিন ই।

এই অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ফল হল ফলের রাজা। প্রতিটি বয়সির স্বাস্থ্যের জন্য আম অত্যন্ত উপকারী। বিশেষ করে মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য আম হল আদর্শ মরসুমি ফল। ব্রেস্ট ক্যানসার প্রতিরোধ করতে, উজ্জ্বল ত্বকের জন্য আম খুব উপকারী একটি ফল। তাই গরম কালে নিয়মিত ডায়েট চার্টে আম যোগ করতে ভুলবেন না।

আরও পড়ুন: হেঁসেলেই রয়েছে মৃত্যুফাঁদ! এই ৪ খাবার খেলে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বাড়ে

উজ্জ্বল ত্বক- আমের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উপাদান। এছাড়া ভিটামিন সি, কুয়েরেকটিন ও ক্যারোটেনয়েডসের মতো উপকারী খনিজ উপাদান ত্বককে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। উজ্জ্বল ও কোমল ত্বক পেতে আমের শাঁস ব্যবহার করা যায়। আমের শাঁসে রয়েছে আলফা-টোকোফেরল, ভিটামিন ই, যা ত্বকের কোষকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করতে, বার্ধক্যের ছাপ পড়তে না দেওয়া, বলিরেখা দূর করতে আমের অবদান অনস্বীকার্য। ত্বকের পুরোপরি দেখভালের জন্য প্রতিদিন একটি আম যথেষ্ট।

ব্রেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমায়- মহিলাদের ক্ষেত্রে যে তিনটি ক্যানসারের প্রবণতা দেখা যায়, সেগুলির মধ্যে ব্রেস্ট ক্যানসার অন্যতম। ২০১৮ সালে একটি সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, নতুন করে ১,৬২,৪৬৮ জন মহিলা ব্রেস্ট ক্যানসারের আক্রান্ত হয়েছেন, ৮৭,০৯০ জন মহিলা এই কর্কট রোগের শিকার হয়েছেন। সমীক্ষায় আরও জানানো হয়েছে, আমের মধ্যে অ্যান্টিফ্লেমাটারি খনিজই ব্রেস্ট ক্যানসার কোষের বিরুদ্ধে লড়াই করে।

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম প্রতিরোধ করতে- গবেষণায় প্রমণিত, আমের পাতা ও আমের মধ্যে রয়েছে ফচ্চমানের ফাইটোক্যামিকাল উপাদান ও পলিফেনলস ( মায়োইনোসিটল, ম্যাগিফেরন, গামাঅরিজোনল)। এছাড়া রয়েছে ভিটামিন বি, যা পিসিওএসের চিকিতসার কাজে লাগে।

আরও পড়ুন: প্রতিদিন সকালে হোয়াইট ব্রেড খাচ্ছেন? ডায়াবেটিস থেকে ওবেসিটি, এর প্রভাব কিন্তু মারাত্মক!

ভ্যাজাইনাল হেল্থ- মহিলাদের গোপানাঙ্গে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ ও ফাংগাল ইনফেকশন প্রতিরোধ করতে আমের রস, শাঁস খাওয়া খুব উপকারী। সংক্রমণের জেরে ভ্যাজাইনায় জ্বালাভাব, অস্বস্তি, চুলকানি, যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যায়। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, আমের মধ্যে বর্তমান কুয়েরেকটিন ও গ্যালিক অ্যাসিড, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টি-ইচিং উপাদান রয়েছে, যা গোপনাঙ্গে সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে পারে।

অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য উপকারী- আমের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা রক্তে হিমোগ্লোবিনে মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে থাকে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তিকে ভাল রাখতে ও ভিটামিন সি , যা রক্তে ফ্রি-র্যাডিক্যালের মোকাবিলা করে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করে। এতে রয়েছে পটাসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম। অন্যান্য ফলের তুলনায় আমে চিনির পরিমাও বেশি রয়েছে। ক্য়ালোরি বেশি থাকায় গর্ভাবস্থায় ট্রিমিস্টার স্তরে আম খাওয়া অত্যন্ত জরুরি।