বসবাসের জন্য গৃহনির্মাণ হোক বা ব্যবসার জন্য দোকান— বাস্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ভারতের অতিপ্রাচীন নির্মাণবিজ্ঞান হল বাস্তু। হিন্দুশাস্ত্রেও বাস্তুকে বিশেষ স্থান দেওয়া হয়েছে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে আমরা যে জায়গায় বাস করি বা কর্ম করি তার বিরাট প্রভাব রয়েছে আমাদের জীবনে। সুতরাং ঘর তৈরির জন্য পরিকল্পনা করার সময় অবশ্যই তা বাস্তুবিজ্ঞান মেনেই করা উচিত। শোওয়ার ঘর, বসার ঘর, প্রধান দরজার দিক সবকিছুই বাস্তুমতে হওয়া উচিত। না হলে তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে আমাদের জীবনে। বাস্তুবিশেষজ্ঞরা বলছেন, একজন পুরুষ ও মহিলার সম্পর্ক বিয়ের পর আরও গাঢ় হয়। দু’জনের ভাবনাচিন্তা ও বোঝাপড়া ভালো হলে সম্পর্কেরও উন্নতি হয়। সেক্ষেত্রে তারা বিয়ে সফলতা লাভ করে। সম্পর্কে বোঝাপড়ার অভাব থাকলে বিয়ের পর প্রতিটি দিন বদলে যায় দুঃস্বপ্নে। আর সম্পর্কের এমন অবক্ষয়ের পিছনে দায়ী থাকতে পারে বাস্তু!
বাস্তুমতে স্বামী-স্ত্রী’র সম্পর্ক অটুট রাখতে হলে কতকগুলি নিয়ম অবশ্যই পালন করা দরকার—
• খাটে স্ত্রী’কে অবশ্যই স্বামীর বামদিকে শুতে হবে।
• শোওয়ার ঘরের নির্মাণ ও সেখানে থাকা আসবাবপত্রও থাকতে হবে বাস্তুর নিয়ম অনুসারে। বেডরুম কখনওই উত্তর-পূর্ব দিকে হওয়া উচিত নয়। উত্তরদিকে তো অবশ্যই নয়।
• বেডরুমে ঈশ্বরের মূর্তি বা ফটো রাখবেন না।
• পূজার কোনও সামগ্রীও বেডরুমে রাখা চলবে না।
• বেডরুমের দেওয়ালে সুন্দর কোনও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবি রাখতে পারনে। কোনও নদী বা উপত্যকার ছবি টাঙাতে পারেন অবশ্যই। তবে কোনও ভয়ঙ্কর বা দুঃখের ছবি টাঙানো যাবে না।
• একই তোষকে শুতে হবে স্বামী-স্ত্রীকে। একই খাটে আলাদ আলাদা তোষক পাতা যাবে না।
• বিছানার চাদর হওয়া উচিত নীল অথবা সবুজ। গোলাপি চাদরও ভালো।
• বেডরুমের দেওয়ালের রং কখনওই কালো করবেন না।
• বেডরুমে কখনওই আয়না রাখবেন না। বেডরুমে আয়না তর্কের অবতারণা করতে পারে।
• সম্পর্কের উন্নতিতে স্বামী-স্ত্রী দ্বিমুখী রুদ্রাক্ষ পরতে পারেন।
• শুক্রবার তর্জনীতে উপল খচিত রুপোর আংটি পরুন।
• শিবের পূজা দিন।
• একে অপরকে উপহার দিন।
• বালিশের কাছাকাছি স্থানে তামার পাত্রে জল ভরে রেখে দিন।
• প্রাকৃতিক সুগন্ধি ব্যবহার করুন ও সারা ঘরে ওই সুগন্ধি ছড়িয়ে দিন, বিশেষ করে শোওয়ার ঘরে।
• গৃহে মিষ্টি গন্ধযুক্ত ফুলের গাছও রাখতে পারেন।
উপরিউক্ত টিপসগুলি মেনে চললে নিশ্চিতভাবে দম্পতির মধ্যে প্রেম আরও বাড়বে।