নয়া দিল্লি : রেলের চাকরি (Railway Job) পেল একরত্তি। তাও মাত্র ১০ মাস বয়সেই। রেলের তরফে এমনই জানানো হয়েছে। কিন্তু ছোট্ট মেয়েটার কি আর এখন এত কিছু বোঝার সাধ্য আছে? কীসের চাকরি, কেন চাকরি, সে সব এখন ওর বোঝার ক্ষমতা হয়ে ওঠেনি। রেলের তরফে জানানো হয়েছে, ১৮ বছর বয়স হলে, সে ভারতীয় রেলে কাজে যোগ দিতে পারবে। ইতিমধ্যেই রেলের আধিকারিকরা তাঁর আঙুলের ছাপ নিয়ে গিয়েছেন। রেলের খাতায় তাঁর নামও নথিভুক্ত করা হয়েছে। সেও এক কাণ্ড। ছোট্ট ওই মেয়েটির আঙুলের ছাপ নিতে গিয়ে হিমসিম খেতে হয় রেলের আধিকারিকদের। কান্নাকাটিতে একাকার কাণ্ড। ছত্তীসগঢ়ের (Chattisgarh) একরত্তির মাত্র ১০ মাস বয়সেই চাকরি পেয়ে যাওয়ার এই ঘটনা চাউর হতেই চারিদিকে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। রেল আধিকারিকদের একাংশ বলছেন, ছত্তীসগঢ়ে এর আগে এমনভাবে চাকরি সম্ভবত কেউ পাননি।
জানতে ইচ্ছে করছে কীভাবে এই চাকরি পেল ছোট্ট মেয়েটা? এর পিছনে রয়েছে মর্মান্তিক এক ঘটনা। একরত্তি মেয়েটা এক দুর্ঘটনায় বাবা-মা দুইজনকেই হারিয়েছে। বাপ-মা হারা ওই মেয়েটির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে এই চাকরি দেওয়া হচ্ছে। সাধারণভাবে মৃত সরকারি কর্মীদের পরিবারকে সাহায্য করার জন্য এই ধরনের ‘কমপ্যাশনেট গ্রাউন্ডে’ নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেলের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “৪ জুলাই ১০ মাসের এক শিশুকন্যাকে দক্ষিণ পূর্ব মধ্য রেলের পার্সোনেল ডিপার্টমেন্টে কমপ্যাশনেট নিয়োগের জন্য নথিভুক্ত করা হয়েছে। মেয়েটির বাবা রাজেন্দ্র কুমার ভিলাইয়ের রেল ইয়ার্ডে সহকারি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ১ জুন একটি পথ দুর্ঘটনায় রাজেন্দ্র কুমার এবং তাঁর স্ত্রী মারা যান। শিশুটি প্রাণে বেচে গিয়েছিল। নিয়ম মেলে রায়পুর ডিভিশন থেকে রাজেন্দ্র কুমারের পরিবারকে সবরকমভাবে সাহায্য করা হয়েছে।” রেলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ওই ছোট্ট মেয়েটির আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে এবং রেলের খাতায় সরকারিভাবে তাঁর নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে।