Exotic Animal Rescued: ভিতর থেকে শোনা যাচ্ছিল অদ্ভুত কিছু শব্দ, হাত দেখিয়ে পরপর গাড়ি দাঁড় করাতেই চোখ কপালে পুলিশের

Exotic Animal Rescued: আটক গাড়িগুলির দরজা খুলতেই দেখা যায়, ভিতরে বাক্স ও খাঁচায় ভর্তি। বাক্সগুলির ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০টি কচ্ছপ, ২টি হনুমান, ২টি মারমোসেট বানর, ২২টি পাইথন সাপ, ১৮টি সুমাত্রান ওয়াটার মনিটর, ৫৫টি কুমিরের বাচ্চা, ৪টি ফ্লেম লাভবার্ড, ৪টি সেরভাল বিড়ীল ও ১টি অ্যালবিনো ওয়ালাবি।

Exotic Animal Rescued: ভিতর থেকে শোনা যাচ্ছিল অদ্ভুত কিছু শব্দ, হাত দেখিয়ে পরপর গাড়ি দাঁড় করাতেই চোখ কপালে পুলিশের
প্রতীকী চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 16, 2022 | 9:03 AM

আইজল: সামনে পুলিশের ব্য়ারিকেড, তা দেখেও হু হু করে দ্রুতগতিতে আসছিল তিনটি গাড়ি। ব্যারিকেড ভেঙেই পালাচ্ছিল গাড়িগুলি, কোনওমতে দাঁড় করায় পুলিশ। দরজা খুলতেই চোখ কপালে পুলিশের, এতো গাড়ি নয়, আস্ত একটা চিড়িয়াখানা। অ্যালবিনো ওয়ালাবি থেকে শুরু করে কচ্ছপ, হনুমান,মারমোসেট, পাইথন, কুমির- কী নেই সেই গাড়ির ভিতরে। ১৪০টি বিরল প্রজাতির প্রাণীই পাচার হচ্ছিল প্রতিবেশী দেশ থেকে এদেশে। তবে বিক্রির আগেই সেই পাচার চক্র আটকাল পুলিশ। শনিবার মিজোরাম থেকে এই বিশাল সংখ্যক প্রাণী উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় তিন পাচারকারীকেও।

পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, মিজোরাম পুলিশ এবং চম্পাই আবগারি ও নারকোটিক্স বিভাগের তরফে যৌথ অভিযানে ১৪০টি বিরল প্রজাতির পশু-পাথি উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, প্রতিবেশী দেশ মায়ানমার থেকে ভারতে পাচার করা হচ্ছিল প্রাণীগুলি। অসম, মিজোরামে প্রাণীগুলি বিক্রির পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু তার আগেই পুলিশ পাচারকারীদের গ্রেফতার করা হয়। চম্পাইয়ের কাস্টম প্রিভেন্টিভ ফোর্সের সুপারিন্টেন্ডেন্টের হাতে উদ্ধার হওয়া প্রাণীগুলি তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রাণীগুলির পুনর্বাসনের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।

জানা গিয়েছে, মায়ানমার ও ভারত-দুই দেশের পাচারকারীরা মিলেই এই বিপুল সংখ্যক পশুপাখি পাচার করা হচ্ছিল। দুটি বলেরো ও একটি স্করপিও গাড়িতে করে পশু-পাখিগুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল। পুলিশের কাছে গোপনসূত্রে খবর আসতেই চম্পাই পুলিশ ও আবগারি দফতর যৌথ অভিযান চালায়।  মাঝ রাস্তা থেকে আটক করা হয় গাড়িগুলি।

আটক গাড়িগুলির দরজা খুলতেই দেখা যায়, ভিতরে বাক্স ও খাঁচায় ভর্তি। বাক্সগুলির ভিতর থেকে উদ্ধার করা হয় ৩০টি কচ্ছপ, ২টি হনুমান, ২টি মারমোসেট বানর, ২২টি পাইথন সাপ, ১৮টি সুমাত্রান ওয়াটার মনিটর, ৫৫টি কুমিরের বাচ্চা, ৪টি ফ্লেম লাভবার্ড, ৪টি সেরভাল বিড়ীল ও ১টি অ্যালবিনো ওয়ালাবি। উদ্ধার হওয়া পশু-পাখি এবং গ্রেফতার হওয়া পাচারকারীদের চম্পাই কাস্টম প্রিভেন্টিভ ফোর্সের সুপারিন্টেন্ডেন্টের হাতে।

উল্লেখ্য, গত মাসেও অসম থেকে ৪০টি বিরল প্রজাতির প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছিল। ওই প্রাণীগুলিও মায়ানমার থেকেই সড়কপথে পাচার করা হচ্ছিল। নাগাল্য়ান্ডের ডিমাপুর থেকে আটক করা হয় গাড়িগুলি।