নয়া দিল্লি: দেশের কুখ্যাত ও দাগী সমস্ত অপরাধীদের ঠিকানা হয় এই জেল। সম্প্রতিই দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আপ নেতা মণীশ সিসোদিয়া(Manish Sisodia)-রও ঠিকানা হয়েছে এই জেলে। অন্যদিকে, গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূমের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল(Anubrata Mondal)-কে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার পরই জল্পনা শুরু হয়েছে যে কেষ্টরও ঠিকানা হতে পারে এই তিহাড় জেল(Tihar Jail)-ই। তবে কতটা সুরক্ষিত সেই জেল? বন্দিরাই বা কতটা ভয়ঙ্কর? জেলের অন্দরে তল্লাশি চালিয়ে যে সমস্ত জিনিস উদ্ধার হল, তাতে এই প্রশ্নই উঠে আসছে। শুক্রবার তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, বন্দিদের সেলে তল্লাশি চালিয়ে মোট ২৩টি সার্জিকাল ব্লেড (Surgical Blades), বিভিন্ন মাদক (Drugs), স্মার্টফোন (Smart Phone) ও প্রচুর সিমকার্ড (Sim Card) উদ্ধার করা হয়েছে।
তিহাড় জেলের এক শীর্ষ আধিকারিক জানান, সম্প্রতিই বেশ কিছু বন্দির সন্দেহজনক গতিবিধি নজরে আসে। এরপরই বৃহস্পতিবার সন্ধে ৬টা ৪০ মিনিট নাগাদ ৩ নম্বর সেন্ট্রাল জেলের কর্মীরা বন্দিদের ও তাদের সেলে তল্লাশি অভিযান চালায়। সেখান থেকেই এই সমস্ত জিনিস, যা বন্দিদের কাছে রাখা নিষিদ্ধ, তা উদ্ধার করা হয়।
জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বন্দিদের তল্লাশি চালিয়ে মোট ২৩টি সার্জিকাল ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন সেল থেকে মাদক, দুটি স্মার্টফোন ও বেশ কিছু সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও আরও বেশ কিছু সামগ্রী উদ্ধার করা হলেও, সেগুলি কী, তা জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়নি।
তিহাড় জেল কতর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, সার্জিকাল ব্লেড, মোবাইল ফোন সহ যাবতীয় জিনিস নির্দিষ্ট একজন বন্দির কাছেই ছিল। জানা গিয়েছে, জেলে তল্লাশির খবর শুনেই লাগোয়া অপর একটি সেলে প্য়াকেটে ভরে যাবতীয় জিনিস ছুড়ে মেরেছিল ওই বন্দি। ইতিমধ্যেই ওই বন্দিকে শনাক্ত করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। গোটা বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। তারাই এই বিষয়ে পরবর্তী তদন্ত করবে।